নেতাজিকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরছে রাজ্য। গ্রাফিক: সনত্ সিংহ
সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন আধারিত রাজ্যের ট্যাবলো বাদ দেওয়া নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। নেতাজির জন্মজয়ন্তী পালন থেকে অনুষ্ঠান, মূর্তি তৈরি, সব ক্ষেত্রেই কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সঙ্ঘাতের আবহ। এরই মধ্যে সোমবার বড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নাম পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে পদক্ষেপ করার কথা জানালেন তিনি।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “১৯৪৩ সালে নেতাজি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে শপথ নেন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। মাথায় রাখতে হবে, সেই সময় অখণ্ড ভারতবর্ষ ছিল। পরাধীন অখণ্ড ভারতবর্ষ। উপনিবেশকালে এটি তিনি করেছিলেন। নিজের ক্যাবিনেট গঠন করেছিলেন। এটি সিলেবাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক বা সময়কালীন কোনও প্রশ্ন আছে কি না, সেটা আমরা সিলেবাস কমিটিকে বিবেচনা করতে বলব।”
ব্রাত্যের এই ঘোষণার পর, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ আবার একই দাবি তুলে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেছেন। তাঁর অভিযোগ নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে একটিও কার্যকরী পদক্ষেপ করেনি মোদী সরকার। এর পর কুণালের প্রশ্ন, কেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নেতাজির নাম ঘোষণা করল না কেন্দ্রীয় সরকার?
আবার শিক্ষামন্ত্রীর এ হেন উদ্যোগের প্রশংসায় কুণাল টুইটও করেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীকে ধন্যবাদ। নেতাজিই দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। এই স্বীকৃতির প্রথম ধাপ হিসেবে তাঁর সরকার ও মন্ত্রিসভা সংক্রান্ত বিষয়গুলি বিস্তারিত ভাবে নতুন প্রজন্মের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য সিলেবাস কমিটিকে যথাযথ ভাবে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন।’
এ ব্যাপারে সিলেবাস কমিটি কী চিন্তাভানা করছে? শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পরে যোগাযোগ করা হয়েছিল সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদারের সঙ্গে। তিনি জানান, মন্ত্রীর ঘোষণা সবাই শুনেছেন। তবে তিনি এ বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চান না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy