—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রেশন দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রশ্নের মুখে পড়ল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন আনিসুর রহমান এবং আলিফ নুর ওরফে মুকুল রহমান। বিচারকের প্রশ্ন, তাঁদের কিসের ভিত্তিতে (কোন গ্রাউন্ড) গ্রেফতার করা হয়েছে? যাঁদের বিরুদ্ধে প্রথমে অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হল, সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত। ধৃতদের ১২ অগস্ট পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
নদিয়াতে চারটি এবং ভবানীপুর, বালিগঞ্জে রেশন দুর্নীতি নিয়ে এফআইআর হয়েছিল। ভবানীপুরে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রেশন দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে নেমেছিল ইডি। গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হয়েছেন আরও দু’জন। তাঁদের শুক্রবার বিচারভবনে হাজির করানো হয়। বিচারক শুক্রবার প্রশ্ন তোলেন, প্রথম যাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করেছে ইডি? ভবানীপুরে যাঁদের নামে অভিযোগ করা হয়েছিল, তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই প্রশ্নের মুখোমুখিও হয়েছে ইডি। যে অপরাধের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়, তা নিয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা-ও জানতে চেয়েছেন বিচারক।
আনিসুর এবং আলিফকে আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক প্রশ্ন করেন, মূল অপরাধে তাঁদের কী ভূমিকা পাওয়া গিয়েছে। ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ’ (ক্রেডিবেল মেটেরিয়াল) কী রয়েছে? বিচারক জানান, এই দু’জন অন্য অপরাধে যুক্ত থাকতে পারেন, কিন্তু টাকা তছরুপে যুক্ত কি না, সেটা এখানে বিচার্য বিষয়। তাঁদের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে ‘গ্রাউন্ডস অফ অ্যারেস্ট’ দেখতে চান বিচারক। ইডির আইনজীবী জানান, তদন্তকারী অফিসার আদালতে রয়েছেন। তিনি বিচারককে সব জানাবেন। কিন্তু আদালতে অনেকেই রয়েছেন, সব বিষয় জানাজানি হলে তদন্তের অসুবিধা হবে। তাই সকলকে বাইরে যেতে বলা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy