—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সকাল থেকেই ফের তল্লাশি অভিযানে নামল ইডি। শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে এক সঙ্গে তিন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। এই জায়গাগুলি হল হাওড়ার সাঁকরাইলের ডেল্টা জুটমিল। বালিগঞ্জে জুটমিলটির মালিকের বাড়ি এবং কলকাতার কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটে ‘ডেল্টা’ সংস্থার অফিস। তদন্তকারীদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। ইডি সূত্রে খবর, ভুয়ো ডিরেক্টর নিয়োগ মামলার তদন্তের সূত্রেই তাদের এই তল্লাশি অভিযান। আগেই এই মামলায় ইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
‘ডেল্টা লিমিটেড’ এবং ‘ওলিসা রিয়্যালিটি প্রাইভেট লিমিটেড’ নামক দুই সংস্থার বিরুদ্ধে কয়েক জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী আদালতে মামলা করেন। তাঁদের অভিযোগ, সংস্থার তরফে তাঁদের প্রাপ্য প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এই খাতে প্রায় ২১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ওই মামলাতেই দুই সংস্থার পাঁচ জন ডিরেক্টরকে তলব করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস (এসএফআইও)-কে তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে। রাত ১০টা নাগাদ তাঁর এজলাস বসেছিল। এসএফআইও-কে তিনি পরের দিন বিকেল ৩টেয় রিপোর্ট দিতে বলেছিলেন। অভিযুক্ত দুই সংস্থার বিরুদ্ধে ইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এসএফআইও-কে এফআইআর দায়ের জন্য থানায় অভিযোগ জানাতে বলেন। সেই মতো কলকাতার হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তদন্ত শুরু করে ইডি। পিএফ ‘দুর্নীতি’র মামলায় ‘বড় বড়’ মাথা যুক্ত রয়েছেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এ-ও বলেছিলেন, ‘‘ওঁরা আমার বদলিও করে দিতে পারেন। কিন্তু আমি এ সব বরদাস্ত করব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy