(বাঁ দিকে) আনিসুর রহমান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (মাঝে), আলিফ নুর(ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় (বালু) মল্লিকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সংস্থায় টাকা দিয়েছিলেন ধৃত আনিসুর রহমান এবং আলিফ নুর ওরফে মুকুল রহমান। শুক্রবার আদালতে এমনটাই দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, জ্যোতিপ্রিয়ের সংস্থাকে ১০ লক্ষ টাকা দিতেন আনিসুর এবং আলিফ। ইডির আরও দাবি, গত ডিসেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর যে ‘চিঠি’ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল এবং তদন্তের সূত্রে পাওয়া দুই ফোল্ডারে লুকিয়ে রয়েছে রেশন দুর্নীতির রহস্য।
প্রায় ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে আনিসুর এবং আলিফকে। এই কাণ্ডে আগে গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। আনিসুর এবং আলিফকে শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হয়েছে। তাঁদের তরফে জামিনের আবেদন করা হয়েছে। ইডি আদালতে দাবি করেছে, জ্যোতিপ্রিয়ের চিঠি পাওয়ার পর এই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বিভিন্ন বিষয় প্রকাশ্যে আসছে। তাদের দাবি, সেই চিঠিতে একটি নাম ছিল ‘মুকুল’। ঘটনাচক্রে, ধৃত আলিফের আর এক নাম মুকুল।
ইডির আরও দাবি, সূত্র মারফত তারা জানতে পেরেছে, জ্যোতিপ্রিয় ওরফে বালুকে ১০ লক্ষ টাকা সুদ দিতে হত। বিচারক জানতে চান, এর সঙ্গে রেশন দুর্নীতির কী সম্পর্ক? ইডির তরফে জানানো হয়, বালুর সিএ (চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট) শান্তনু ভট্টাচার্যের দফতর ডায়মন্ড হেরিটেজে তল্লাশিতে গিয়েছিল তারা। সেখান থেকে কিছু ডিজিটাল ডেটা উদ্ধার হয়। তার মধ্যে একটি ফোল্ডার ছিল ধৃতের নামে। ফাইলে লেখা ছিল ‘মুকুলদা’। ইডির দাবি, সেখান থেকেই তারা জানতে পারে ধৃতেরা বালুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সংস্থায় টাকা দিয়েছিলেন। ধৃতদের সংস্থার ফাইলও ছিল সেখানে। সেখান থেকেই তারা তথ্য পেয়েছে বলে দাবি ইডির। জ্যোতিপ্রিয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সংস্থায় ১০ লক্ষ টাকা জমা করার কথাও ওই ফোল্ডার থেকে তারা জেনেছে বলে দাবি ইডির।
এসএসকেএম হাসপাতালে ডিসেম্বর মাসে চিকিৎসাধীন থাকার সময়ে জ্যোতিপ্রিয় তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনীর হাতে একটি চিঠি দেন বলে ইডি সূত্রের খবর। হাসপাতালে পাহারারত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা ওই চিঠি বাজেয়াপ্ত করেন। ইডির দাবি, ওই চিঠিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। চিঠির সূত্রে রেশন বণ্টন দুর্নীতির মামলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছে বলেও আদালতে দাবি করেছিল ইডি। এবার তারা দাবি করল, ওই চিঠিতেই একটি নাম ছিল ‘মুকুল’। ধৃত আলিফের আর এক নামও মুকুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy