কেবলমাত্র পোড়ানো যাবে পরিবেশবান্ধব বাজি। ফাইল চিত্র।
কবে, কখন, কী কী বাজি পোড়ানো যাবে তা নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্যদ। মঙ্গলবার জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৮ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি নির্দেশের উল্লেখ করা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে মূলত চারটি নির্দেশ।
ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কালীপুজোর দিন মাত্র ২ ঘণ্টা পোড়ানো যাবে আতশবাজি। তা-ও সেই বাজিকে হতে হবে পরিবেশবান্ধব। ওই দিন রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর ছাড় রয়েছে। ছটপুজোতেও ২ ঘণ্টার জন্য আতশবাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ছটপুজোয় সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত আতশবাজি পোড়ানো যাবে। বড়দিনের উৎসব-সহ নতুন বছরের সূচনালগ্নে আতশবাজি পোড়ানোর ছাড় দেওয়া হলেও, তার সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২৪ ও ৩১ ডিসেম্বর রাতে ৩৫ মিনিট আতশবাজি পোড়ানো যাবে। রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা। সেই বাজিকেও হতে হবে পরিবেশবান্ধব।
বায়ু দূষণ রুখতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে পর্ষদের তরফে। পাশাপাশি, সবরকম শব্দবাজি পোড়ানো বা বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে পরিবেশ দফতর। শব্দবাজিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকার কারণেই বায়ু দূষণের পরিমাণ বাড়তে পারে। ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়তে পারে। তেমনই করোনা পজিটিভ রোগীদেরও সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা। কারণ, ওই রোগীদের শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য তাজা বাতাস অত্যন্ত জরুরি।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অক্টোবর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বায়ু পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এখানকার বাতাস মাঝারি থেকে ভাল মানের রয়েছে। তাই আতশবাজি মারফত বায়ু দুষণ হলে অসুস্থদের অসুবিধা হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ আতশবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা পার্কসার্কাসে যে আতশবাজি মেলা করছি, সেখানে শব্দবাজি বিক্রি হবে না। সরকারি নির্দেশ মতো পরিবেশবান্ধব বাজিই বিক্রি হবে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যে নির্দেশিকা দিয়েছে তা আমরা মেনে চলব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy