হলদিয়ায় বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে গোপালবাবু। নিজস্ব চিত্র।
চোখের সামনে আকাশটা যেন এখনও দুলছে গোপাল বাহাদুর ছেত্রীর।
হলদিয়ার বাড়িতে বসে শনিবার নেপালের ভূমিকম্পের কথা বলতে বলতে বারবার শিউড়ে উঠছিলেন তিনি। নেপালের এই বাসিন্দা হলদিয়া পুরসভার নিরাপত্তাকর্মী। তাই কাজের সূত্রে হলদিয়াতেই তিনি থাকেন। গত ১৮ এপ্রিল দুই ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে এক সপ্তাহের ছুটিতে নেপালে গিয়েছিলেন। নেপালের ধাদিং জেলার বসেরি ও মেজদিদির বাড়ি গোর্খায় বেশ কয়েকটা দিন কাটিয়েও ছিলেন। এরপর গত ২৪ এপ্রিল তিনি বারা জেলার সিসরাতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন। শ্বশুরবা়ড়ি যাওয়ার পরদিনই এমন ভূমিকম্প।
গোপালবাবু জানিয়েছেন, শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বা ঘরবাড়ির ক্ষতি না হলেও ভূমিকম্পে ওই গ্রামের বেশকিছু ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘দুপুরে খাওয়ার পর আমি ঘুমানোর চেষ্টা করছিলাম। হঠাৎ ঘরের খাট খুব জোরে নড়তে শুরু করল। আমি লাফ দিয়ে খাট থেকে নেমে পড়ি। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে দেখি আশপাশের লোকজনও বাড়ি ছেড়ে ফাঁকা জায়গায় জড়ো হয়েছেন। বাইরে এসেও মাথা ঘুরে যাওয়ার মত অবস্থা। ঘরবাড়ি,গাছপালা নড়ছে।’’ তবে শনিবার রাতেই ভারতে ফেরার ট্রেনে চেপেছিলেন গোপালবাবু।
কিন্তু হলদিয়ায় ফিরেও শান্তিতে নেই তিনি। বারবার বলছিলেন, ‘‘মেয়ের স্কুল যাচ্ছে। তাই তাড়াহুড়ো করে এখানে ফিরতে হল। বাড়িতে কারোর সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছি না। খুব চিন্তা হচ্ছে।’’ পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল জানান, গোপাল বাহাদূরের আত্মীয়স্বজনদের বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে শুনেছি। তাঁর পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy