ই-রেশন ব্যবস্থা চালু হলে ন্যায্যমূল্যের রেশন দোকান থেকেই খাদ্যসামগ্রী কেনা যাবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। —নিজস্ব চিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ই-রেশন পদ্ধতি চালু করার ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। দিন কয়েকের মধ্যেই রাজ্য জুড়ে চালু হবে ওই পদ্ধতি। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ই-রেশন ব্যবস্থা চালু হলে ন্যায্যমূল্যের রেশন দোকান থেকেই খাদ্যসামগ্রী কেনা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
সোমবার সন্ধ্যায় নিজের বিধানসভা কেন্দ্র উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পর খাদ্যমন্ত্রী জানান, কয়েক দিনের মধ্যে ই-রেশন চালু করা হবে। তাঁর কথায়, “এর আগে দেশের কোনও রাজ্য সরকার এমন প্রকল্প করতে পারেনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাই করে দেখালেন। রাজ্যের সব গরিব মানুষকে রেশন পরিষেবার আওতায় নিয়ে আসার উদ্দেশ্যেই এই অভিনব উদ্যোগ।”
ই-রেশন পদ্ধতি কী? ছাপানো ডিজিটাল রেশন কার্ডের থেকে কতটাই বা আলাদা? জবাবে জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছেন, ই-রেশন কার্ড এবং খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের দেওয়া ছাপানো ডিজিটাল রেশন কার্ডের বৈধতা একই। নির্দিষ্ট ন্যায্যমূল্যের রেশন দোকানে রেশন সামগ্রী এবং কেরোসিন তেল নেওয়ার জন্য ই-রেশন কার্ড ব্যবহার করা যাবে। সেই সঙ্গে ই-রেশন কার্ডের সমস্ত তথ্য অনলাইনে নির্দিষ্ট লিঙ্কে ক্লিক করলে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রেশন তোলার সময় গ্রাহকেরা তাঁদের রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি পাবেন। রেশন তোলার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য রেশন ডিলারকে ওই ওটিপি দিতে হবে। যদি ওটিপি পাওয়ার সুযোগ না থাকে, তা হলে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাতের ছাপ দিয়ে রেশন তুলতে পারবেন গ্রাহক।
জ্যোতিপ্রিয়র দাবি, এই মুহূর্তে রাজ্যে রেশন পরিষেবার মাধ্যমে জুন মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে প্রায় ১০ কোটি মানুষের হাতে খাবার তুলে দেওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয়র কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকার কোনও রকম সাহায্য করছে না। বরং কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যের খাদ্য দফতরের ৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে।”
তবে এ বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপি-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সব সময় ধাপ্পা দেন। রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রচুর টাকার চাল-গম চুরি হয়েছে, যার কোনও হদিশ নেই। দলকে সামনে রেখে বেআইনি কাজ করে চলেছেন তিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy