—প্রতীকী ছবি
ঘোষিত সময়সীমা অনুযায়ী ‘দুয়ারে সরকারে’ জমা পড়া সব আবেদনের ভিত্তিতে পরিষেবা নিশ্চিত করতে হবে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে। সম্প্রতি বীরভূমে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও লক্ষ্যমাত্রা পূরণের উপরে জোর দিয়েছেন। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত খাদ্যসাথী ছাড়া ১১টি প্রকল্পে মোট আবেদনপত্রের নিরিখে বিবেচনাধীন অবেদনপত্রের হার ৫০ শতাংশের বেশি। এই অবস্থায় চাপ বাড়ছে জেলা প্রশাসনগুলির উপরে।
এক দিকে চলছে ভোটার তালিকা সংশোধন। সমান্তরালে চলছে দুয়ারে সরকারের কাজ। আজ, শনিবার থেকে শুরু হবে ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচি। জেলা প্রশাসনগুলি জানাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে কাজের গতি আগের তুলনায় বাড়াতে হচ্ছে। এ-সবের উপরে জাতি শংসাপত্র, কৃষকবন্ধু এবং স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পে ন্যূনতম যাচাই ছাড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। স্বল্প সময়ের মধ্যে এই কঠিন কাজ সামলাতে এক-এক জন অফিসারকে বেশি বেশি দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। সরকারি সূত্রের খবর, ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১টি প্রকল্পে প্রায় ৪৪,৭০,০০০ আবেদন এসেছিল। তার মধ্যে মঞ্জুর হয়েছে ১৮,২১,০০০টি। ২৩,৫৩,০০০ আবেদন বিবেচনাধীন। বেশ কিছু আবেদনপত্র বাতিল হয়েছে।
খাদ্যসাথী বাদে বাকি প্রকল্পগুলির মধ্যে আবেদনপত্রের সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে জাতি শংসাপত্র। এই সুবিধা চেয়ে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮,৫৯,৯৫৮টি আবেদন এসেছে। আবেদন মঞ্জুর হয়েছে বা পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে ২,৭২,৪৪০ জনকে। ১৫,৭৮,৫৫০টি আবেদন সরকারের বিবেচনাধীন। প্রশাসনিক কর্তারা জানান, এক বার জাতি শংসাপত্র দিলে তা বাতিল করা খুব কঠিন। আইনি জটও রয়েছে। ওই শংসাপত্র থাকলে চাকরি, সরকারি ভাতা-সহ নানা সুবিধা পাওয়া যায়। ফলে শুধু প্রকৃত উপভোক্তার হাতেই যাতে শংসাপত্র পৌঁছয়, অত্যন্ত সাবধানে তা নিশ্চিত করতে হচ্ছে সরকারকে। “১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩,২৫,০০০ শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। আরও তিন লক্ষ মানুষ নথি দিয়েছেন। রোজ কমবেশি ৪০ হাজার শংসাপত্র দেওয়ার কাজ চলছে। ৭-৮ জানুয়ারির মধ্যে কমবেশি ছ’লক্ষ মানুষকে শংসাপত্র দেওয়া যাবে। তা দেওয়ার আগে নিখুঁত যাচাই করতেই হবে,” বলেন এক কর্তা।
খাদ্যসাথীতে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০,১৭,৯৮৬টি আবেদন এসেছিল। ৩,৬৮,৬০৮টি মঞ্জুর হয়েছে। বিবেচনাধীন ৫,৩৬,৬৩৬টি। একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ৯,৮৫,২৬১টি আবেদনের মধ্যে মঞ্জুর হয়েছে ৬,৮৮,৮৯৯টি। বিবেচনাধীন রয়েছে ১,৩৪,২৫৫টি। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কৃষকবন্ধুতে ২,৮৩,৬৯৯টি
আবেদন এসেছিল। ২,২৭,৪৮০টি মঞ্জুর হয়েছে। বিবেচনাধীন ২৮,৩৩৬টি। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সব ক্ষেত্রে আবেদন যাচাই করে পরিষেবা নিশ্চিত করতে হচ্ছে বলেই সময় লাগছে।
রাজ্য সরকারের বক্তব্য, এর মধ্যে স্বাস্থ্যসাথীতে পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। ওই প্রকল্পে ৬০,৪২,৭৮০ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৪৫ লক্ষের বেশি মানুষকে পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে। ৬,১০,০০০ আবেদনপত্র বিবেচনাধীন রয়েছে। প্রশাসনিক কর্তারা জানান, গোটা রাজ্যে সকলের জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প উন্মুক্ত হওয়ার পরে প্রথম দিকে যাঁরা এর আওতার বাইরে ছিলেন, এখন তাঁরাও আবেদন করছেন। বিপুল সংখ্যক নতুন উপভোক্তার ক্ষেত্রে এই পরিষেবা নিশ্চিত করা প্রশাসনের অগ্রাধিকার। তাই এই প্রকল্পের পরিষেবা প্রদানে তুলনায় বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy