Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
CBI

কেন্দ্রীয় তদন্ত নয়, জিততে হবে নিজের জোরে, দলকে শাহ

দলীয় সূত্রের খবর, দ্বিতীয় বৈঠকে শাহকে বেশ কয়েক জন রাজ্য নেতা প্রশ্ন করেন, সারদা, নারদ-কাণ্ডে জড়িত তৃণমূল নেতাদের শাস্তি হচ্ছে না কেন?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।—ছবি এপি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।—ছবি এপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২০ ০৩:৩৭
Share: Save:

সারদা, নারদের মতো কাণ্ডের তদন্তের ভরসায় বসে না থেকে পথে নামুন। আগামী বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে রাজ্য বিজেপিকে এই নির্দেশই দিয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পাশাপাশিই তাঁর আশ্বাস, তৃণমূলের সঙ্গে ‘সেটিং’ হওয়ার কোনও অভিযোগে আমল দেবেন না। ২০২১-এ এ রাজ্যে বিজেপিরই সরকার হবে।

কলকাতায় রবিবার শহিদ মিনার ময়দানে জনসভা-সহ অন্যান্য কর্মসূচির পর নিউ টাউন এলাকার একটি হোটেলে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষ। বৈঠক হয় তিন ভাগে। প্রথম বৈঠকে ছিলেন দলীয় সাংসদরা। দ্বিতীয় বৈঠকে তাঁদের পাশাপাশি দলের রাজ্য পদাধিকারী, জেলা সভাপতি ও পর্যবেক্ষক এবং বিধায়করাও যোগ দেন। তৃতীয় বৈঠকে ছিলেন শুধু কোর কমিটির সদস্যরা।

দলীয় সূত্রের খবর, দ্বিতীয় বৈঠকে শাহকে বেশ কয়েক জন রাজ্য নেতা প্রশ্ন করেন, সারদা, নারদ-কাণ্ডে জড়িত তৃণমূল নেতাদের শাস্তি হচ্ছে না কেন? রাজীব কুমারই বা সিবিআইয়ের নাগালের বাইরে চলে গেলেন কী ভাবে? রাজ্য নেতারা আরও বলেন, তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে প্রচার করতে গেলে ওই সব প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিজেপির ‘সেটিং’-এর খোঁচা দেন মানুষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মমতার বৈঠকের পর ‘সেটিং’ তত্ত্ব নিয়ে আরও চর্চা হচ্ছে। জবাবে শাহ তাঁর উপরে ভরসা রাখতে বলেন রাজ্য নেতাদের। তিনি আরও বলেন, মমতার সঙ্গে ‘সেটিং’-এর কোনও প্রশ্নই নেই। ২০২১-এ এ রাজ্যে বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে। তবে সারদা বা নারদ-কাণ্ডে কেন্দ্রীয় তদন্তের ফলের অপেক্ষায় বসে না থেকে রাজ্য নেতারা যেন এখনই রাস্তায় নামেন। একই সঙ্গে শাহের আশ্বাস ছিল, ওই সব কেলেঙ্কারির কথা তিনি ভুলছেন না। আগামী বছর বিধানসভা ভোট জয়ের লক্ষ্যে প্রয়োজনে প্রতি মাসে তিন থেকে সাত দিন তিনি এবং নড্ডা এ রাজ্যে সময় দেবেন বলেও শাহ জানান।

বৈঠকে শাহ আরও বলেছেন, বিরোধী দল হিসাবে এ রাজ্যে তাঁদের কর্তব্য মমতার ‘ব্যর্থতা’কে নিশানা করা। উন্নয়নের সব প্রশ্নে একটাই জবাব হবে— মমতার সরকারের বাধায় কাজ আটকে আছে। পাশাপাশি, দলীয় সাংসদদের প্রতি শাহর নির্দেশ— পুরভোট এবং বিধানসভা ভোটের আগে এ রাজ্যেই মনোযোগ দিতে হবে তাঁদের। প্রত্যেক সাংসদকে একাধিক পুরসভার সাংগঠনিক দায়িত্ব নিতে হবে। এ দিন রাত ১০টা নাগাদ দিল্লি রওনা হওয়ার কথা ছিল শাহের। কিন্তু মধ্যরাত অবধি তিনি দলীয় বৈঠকে ছিলেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy