প্রতীকী ছবি।
এ বার রাজ্যে হোম আইসোলেশন বা সেফ হোমে থাকা রোগীদেরও আইভারমেকটিন এবং ডক্সিসাইক্লিন, এই দু’টি ওষুধ দিতে পারেন ডাক্তাররা। নতুন কোভিড প্রোটোকল প্রকাশ করে তা জানিয়ে দিল স্বাস্থ্য ভবন।
করোনার চিকিৎসা প্রোটোকল নির্ভর। আইসিএমআরের প্রোটোকলে আইভারমেকটিন এবং ডক্সিসাইক্লিনকে যুক্ত করা হয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের নয়া প্রোটোকলে বলা হয়েছে, কোভিড রোগীর চিকিৎসায় বা প্রোফাইলঅ্যাক্সিস (সংক্রমণ এড়াতে রক্ষাকবচ) হিসাবে আইভারমেকটিনের ব্যবহার হল পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ। যার প্রেক্ষিতে এই ওষুধের ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য স্বাস্থ্য ভবনকে জানাতে বলা হয়েছে। কিন্তু সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রের চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, পরীক্ষামূলক ভাবে ওষুধ ব্যবহারের কথা প্রোটোকলে বলা হয়েছে। হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে তা কী ভাবে প্রযোজ্য হবে!
শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫৫৪৪ জন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এর মধ্যে অন্তত সাড়ে সতেরো হাজার রোগী হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, হোম আইসোলেশনেও আক্রান্ত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকেন। ফলে আইভারমেকটিন দিলে তা ই-মেল মারফৎ স্বাস্থ্য ভবনকে জানানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের। তিনি বলেন, ‘‘আইভারমেকটিন অত্যন্ত নিরাপদ ওষুধ। কোভিডে সেই ওষুধ সেবনে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটছে কি না তা দেখাই হল মূল উদ্দেশ্য। এর জন্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের তথ্য পেলেই হবে।’’ রাজ্যের কোভিড প্রোটোকল প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত মেডিসিনের প্রফেসর জ্যোতির্ময় পালের কথায়, ‘‘হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের মধ্যে এই ওষুধ খেয়ে কতজন গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন, মৃদু এবং মাঝারি মাপের অসুস্থতার পর্যায়ে কতজন থাকছেন, তা দেখা হবে।’’ এই প্রোটোকলের বক্তব্য, হাসপাতালে রোগীকে রেমডিসিভির দিতে হলে একেবারে শুরুতে দেওয়া ভাল। অনেক সময় নিঃশব্দে দেহে অক্সিজেনের মাত্রা কমে বিপদ হচ্ছে রোগীদের। হোম আইসোলেশন বা সেফ হোমে থাকা ষাটোর্ধ্ব, কো-মর্বিড রোগীদের ক্ষেত্রে তিন মিনিট এবং অন্য রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ছ’মিনিটের হন্টন পরীক্ষা প্রোটোকলে যুক্ত করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy