নবান্ন। ফাইল চিত্র।
কোনও প্রকল্পে টাকার দেখাই নেই। আবার কোথাও কার্যত উপচে পড়ছে টাকা। পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখে নবান্ন যখন প্রায় চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা চটজলদি তৈরির নির্দেশ দিয়েছে, তখনই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের পুরো টাকা এসেছে রাজ্যের হাতে। অথচ সেই টাকাও খরচ করতে হবে দ্রুত। এই অবস্থায় সময়ের সঙ্গে লড়াইয়ের মুখোমুখি জেলা প্রশাসনগুলি।
‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গ্রামীণ ভোটারদের অভাব-অভিযোগ-ক্ষোভ সবচেয়ে বেশি ধরা পড়েছিল রাস্তা নিয়ে। একশো দিনের কাজের প্রকল্প এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা বন্ধ থাকায় রাস্তার কাজকেই অগ্রাধিকার দিতে হয়েছে। জেলাগুলি জানাচ্ছে, স্বচ্ছ ভাবে টেন্ডার ডেকে ঠিকাদার বাছাই করতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে। রাস্তার টেন্ডার প্রক্রিয়াই এখনও শেষ হয়নি। এই অবস্থায় অর্থ কমিশনের প্রায় ৩৩০০ কোটি টাকায় নির্বাচিত কাজের টেন্ডার ডাকা, ঠিকাদার বাছাই এবং কাজের বরাত দেওয়ার জন্য হাতে সময় নেহাতই কম। প্রসঙ্গত, অর্থ কমিশনের প্রথম কিস্তিতে এসেছিল প্রায় ১৬৫২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় কিস্তিতে এসেছে প্রায় ১৬৩০ কোটি টাকা।
পর্যবেক্ষকদের মতে, দুর্নীতি-অভিযোগের আঁচে রাজনীতির কড়াইয়ে যখন খই ফুটছে, তখন প্রশাসনিক পদ্ধতিগুলিকে হাল্কা ভাবে নেওয়া জেলা-কর্তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কেন্দ্র এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি রাজ্যের উপর যে ভাবে নজর রেখেছে, তাতে পান থেকে চুন খসলে দায় বর্তাতে পারে জেলা প্রশাসনের উপরই। জেলা প্রশাসনের কর্তার কথায়, “ঠিকাদারদের সংখ্যা সীমিত। এত কাজে ঠিকাদার পাওয়াই ঝক্কির। রয়েছে আরও অনেক প্রকল্পের কাজ।” পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের বক্তব্য, “বিষয়টি জানি। গতি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। পদ্ধতিগত সমঝোতা করা যাবে না, পদ্ধতি মেনেই চলতে হবে।”
অর্থ কমিশনের বরাদ্দের ৬০% নির্ধারিত (টায়েড) খাতে পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা, শৌচালয়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মতো কাজ হয়। বাকি অর্থে (অনির্ধারিত খাত) রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ছোট সেতু তৈরি-মেরামত, আলো, শ্মশান-কবরস্থান, ওয়াই-ফাই পরিষেবা ইত্যাদি হতে পারে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই রীতি মেনে টেন্ডারে ঠিকাদার বাছাই করে কাজের বরাত দেওয়ার কথা। প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অর্থ কমিশনের প্রায় ২৪৪৬ কোটি টাকা (২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ বছরের সম্মিলিত) অব্যবহৃত থাকায় অতীতে নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসনের শীর্ষ মহল। দ্রুত সেই টাকা ব্যবহারের দায়িত্বও চেপেছিল জেলা প্রশাসনগুলির কাঁধে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy