জিনিসপত্রের দর দিন দিন চড়ছে কেন, সে ব্যাপারে বিধানসভায় আলোচনা চাইল না সরকারপক্ষ। পাশাপাশি তারা গিলোটিনের দিকে ঠেলে দিল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের বাজেটকে। বিরোধীদের আপত্তি গুরুত্ব পেল না। প্রতিবাদে সোমবার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বাজেট-বিতর্কের সময়ে ওয়াক আউট করলেন কংগ্রেস ও বাম বিধায়কেরা।
এ বার অধিবেশনের গোড়া থেকেই বাম-কংগ্রেস বলছে, মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে বেসরকারি প্রস্তাব এনে তারা সভায় আলোচনা চায়। মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাজার চড়ার সমস্যা এ রাজ্যে তেমন ভয়াবহ নয়। বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা (বিএ) কমিটির বৈঠকে এ দিন বিরোধী নেতারা ফের বেসরকারি প্রস্তাবের দাবি তোলেন। কিন্তু মানা হয়নি। উল্টে ঈদের আগে অধিবেশন ৪ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করার তাগিদে জানিয়ে দেওয়া হয়, অধিকাংশ দফতরের ব্যয়বরাদ্দ সংক্রান্ত আলোচনা বাতিল করে সেগুলি গিলোটিনে পাঠানো হবে। বিরোধীদের আপত্তি এ ভাবে উপেক্ষিত হওয়ায় গোলমালের সূত্রপাত। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিএ কমিটির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা মাত্র বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান প্রতিবাদ করেন। বলেন, মূল্যবৃদ্ধির মতো জরুরি বিষয়ে বিধানসভায় আলোচনা করতে দিতে হবে। সংখ্যালঘু, কৃষি, ভূমি, স্বরাষ্ট্র প্রশাসনিক (হোম পার)-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরের বাজেট-আলোচনা ছাঁটাইও মানা যায় না।
এমতাবস্থায় বিএ কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে ভোটাভুটি চান মান্নান। কিন্তু কোনও সংশোধনী জমা পড়েনি— এই নিয়মগত কারণ দেখিয়ে স্পিকার তাঁর দাবি খারিজ করেন। প্রতিবাদে কক্ষত্যাগ করে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট।
পরে বিধানসভার বাইরে মান্নান বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের কী অবস্থান, তা নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম। কিন্তু আলোচনাই করতে দেওয়া হল না!’’ মান্নানের তাঁর বক্তব্য: নির্বাচন কমিশন যে আধিকারিকদের সরিয়ে দিয়েছিল, সরকার তাদের অন্যায় ভাবে ফিরিয়ে এনেছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনা হলে এ বিষয়টি সভায় তোলা যেত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy