হাঁটতে হাঁটতেই গলা ভিজিয়ে নিচ্ছেন দিলীপ। নিজস্ব চিত্র
রেলশহরে বারবার এসে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সরকারি কর্মসূচির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন নানা উপহার। জনসংযোগে উঠছেন বাসেও। এ বার শহরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘‘ঠ্যালার নাম বাবাজি।’’
বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের কৌশল্যা থেকে বিজেপির দ্বিতীয় দিনের সঙ্কল্প যাত্রার সূচনা হয়। বুধবার কর্ণগড় থেকে শুরু হওয়া এই সঙ্কল্প যাত্রায় এ দিনও উপস্থিত ছিলেন দিলীপ। এ দিন নারায়ণগড়ের মকরামপুর পর্যন্ত যায় ওই যাত্রা। তবে সঙ্কল্প যাত্রার সূচনায় এক সভার আয়োজন হয়েছিল এ দিন। ওই সভাতেই তৃণমূলকে আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হন তিনি। দিলীপ বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে যে হিংসার রাজনীতি চলছে তার থেকে সমাজকে মুক্ত করতে হবে। পারিবারিক, সামাজিক, সাম্প্রদায়িক হিংসা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজ্যের সরকার বিফলে গিয়েছে। তাই সাধারণ মানুষকে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানাচ্ছি।”
সামনেই খড়্গপুর বিধানসভা উপ-নির্বাচন। বিজেপিকে ঠেকিয়ে শহরে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তৃণমূল শুভেন্দুকে সামনে রেখে মাঠে নেমেছে। শুভেন্দুও বারবার শহরে এসে বিজেপি ও দিলীপকে বিঁধেছেন। এ দিন পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বলেন, ‘‘আমি বলছি আমার বিরুদ্ধে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলুন। আমিও ওদের(তৃণমূল) বিরুদ্ধে বলব। মানুষ ঠিক করবে কে ঠিক। তৃণমূল হিংসা ও খুন ছাড়া মানুষকে কিছু দেয়নি। বিজেপি শান্তি দিয়েছে।” দলকে চাঙ্গা করতে জনসংযোগে বারবার শহরে এসে সরকারি নানা প্রকল্পে মানুষকে উপহার দিচ্ছেন শুভেন্দু। এমনকি, শহর থেকে ফেরার পথে বেলদায় বুধবার সরকারি বাসে উঠেও জনসংযোগ করতে দেখা গিয়েছে পরিবহণমন্ত্রীকে। এ দিন অবশ্য সেই ঘটনাকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “ শুভেন্দু এখন বাসে উঠছেন। কয়েকদিন পরে ভ্যানেও উঠতে হবে। ঠ্যালার নাম বাবাজি।” সঙ্গে দিলীপের সংযোজন, “খড়্গপুরের লোক বোকা নয়, কেউ আর মাফিয়ারাজ ফিরিয়ে আনতে চায় না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy