মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষ। ফাইল ছবি।
রাজ্য সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিলীপ ঘোষকে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয়েছে সোমবার। দিলীপের এই পদ নিয়েই নতুন করে জল্পনা দানা বেঁধেছে। কারণ, এই একই পদে বসানো হয়েছিল মুকুল রায়কে। যে মুকুল সম্প্রতি তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন।
দলে মর্যাদা পাচ্ছেন না মুকুল রায়। এই অভিযোগে এক সময় বঙ্গ বিজেপির অন্দরমহল আলোড়িত হয়েছিল। পরবর্তীতে তাঁকে অবশ্য দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদে বসিয়েছিলেন বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু বিজেপি-র মতো দলে সহ-সভাপতি পদের গুরুত্ব কতটা? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিজেপি-তে সহ-সভাপতি পদটি নিতান্তই আলঙ্কারিক। মুকুলের আগে রাহুল সিংহকেও ওই একই পদে বসানো হয়েছিল। সেই সময় দলের বিরুদ্ধে রাহুলের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছিল। তার পর অবশ্য রাহুলকে ওই পদ থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়। এ বার সেই সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির পদে আনা হল বঙ্গ বিজেপি-র সদ্য প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তা হলে কি দলে কোণঠাসা হচ্ছেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ? সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রদবদলের সময় শোনা গিয়েছিল, দিলীপকে রাজ্য সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করা হবে। কিন্তু সে যাত্রায় মন্ত্রী হওয়া হয়নি দিলীপের। এ বার রাজ্য সভাপতি পদও গেল। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, এর পর দলে কতটা গুরুত্ব থাকবে দিলীপের?
নতুন সভাপতিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সদ্য প্রাক্তন। দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘‘পদ বিষয় নয়, দলের কাজ করাই আমার মূল লক্ষ্য। পার্টি যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্ব পালন করে চলব। সুকান্ত কর্মঠ ছেলে। আশা করব শক্ত হাতে রাজ্যে দল পরিচালনা করতে পারবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy