কনভেনশন সেন্টার। উদ্বোধনের অপেক্ষায়।
মুখ্যমন্ত্রী আসবেন তাই ব্যস্ত কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। ২০ আগস্ট দিঘার নবনির্মিত কনভেনশন সেন্টার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জন্য সোমবার তিনি পূর্ব মেদিনীপুর এসে পৌঁছবেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর হাতে উদ্বোধন হবে দিঘার কনভেনশন সেন্টারের। কিন্তু এখনও সেই কনভেনশন সেন্টারের অনেক কাজই শেষ হয়নি।
রবিবার কনভেনশন সেন্টারে গিয়ে দেখা গেল ব্যাঙ্কোয়েট, স্পা ব্লক, জিম, ফুড কর্নার, মাল্টি ফেসিলিটি রেস্তোঁরা তৈরির কাজ শুরুই হয়নি। কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের দায়িত্বে থাকা কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ) সূত্রে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে কনভেনশন সেন্টারে এক হাজার আসন বিশিষ্ট বাতানুকূল অডিটোরিয়ামের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও নীচ ও একতলায় দুটি পৃথক প্রদর্শনী হল, গাড়ি পার্কিং, ভিআইপি লাউঞ্জ তৈরির কাজও শেষ পর্বে। কনভেনশন সেন্টারের সামনে সুইমিং পুল তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কনভেনশন সেন্টারে উন্নত মানের ফুড কর্নার, মাল্টি ফেসিলিটি রেস্তোঁরা, ব্যাঙ্কোয়েট হল এ সব কিছু গড়ে ওঠার কথা। রাজারহাট-নিউটাউনে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গড়ে ওঠে কনভেনশন সেন্টারে রয়েছে ওই সব রয়েছে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৭ সালের ১১ জুলাই এই কনভেনশন সেন্টারে শিলান্যাস করেছিলেন। মূলত রাজ্যের নগর উন্নয়ন দফতরের অধীনে থাকা খাস জমিতে তৈরি হয়েছে এই ভবন। প্রশাসন সূত্রে খবর, নিউ টাউনে রাজ্য সরকার যে কনভেনশন সেন্টার তৈরি করেছে, সেটি একটি বেসরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত। যদিও দিঘায় কনভেনশন সেন্টার রাজ্য সরকার নিজে চালাবে কিনা তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তার উপর সেখানে উপযুক্ত পরিকাঠামো সম্পূর্ণ রূপে গড়ে ওঠেনি বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় তড়িঘড়ি কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
বিজেপির জেলা সভাপতি (কাঁথি) অনুপ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যা কিছু উদ্বোধন করেন সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য। দিঘার কনভেনশন সেন্টার তৈরি সম্পূর্ণ হওয়ার আগে উদ্বোধন আসলে সেটাই প্রমাণ করতে চলেছে।’’ এ বিষয়ে জেলাশাসক পার্থ ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি কেএমডিএ তদারকি করছে। তারাই সব কিছু বলতে পারবে।’’
তবে কনভেনশন সেন্টারের নির্মাণকারী সংস্থা কেএমডিএ-র ডিজি সুপ্রিয় মাইতির যুক্তি, ‘‘এখনও যে সব পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি, বাস্তবে ওখানে যাঁরা হোটেল পরিচালনা করবেন তাঁদের ব্যাপার। ওই সব পরিকাঠামো কী ভাবে হবে তা রাজ্য সরকার কিংবা বেসরকারি সংস্থাগুলি নিজস্ব বিষয়। তাই এখনই চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy