মিঠুন ও মুকুল। —নিজস্ব চিত্র।
রবিবার যেখানে সভা করে গিয়েছিলেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী, সোমবার সেই একই মঞ্চে সভা করল তৃণমূল। সেখানে হাজির থাকলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়, রাজ্যসভার সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী, মন্ত্রী মদন মিত্র প্রমুখ।
মোদী সভা শেষ করে শ্রীরামপুর স্টেডিয়াম থেকে বেরনোর খানিক ক্ষণের মধ্যেই বিজেপির মঞ্চ তৃণমূলের রঙে ঢালতে লেগে যায় সংশ্লিষ্ট ডেকরেটর। গেরুয়া পতাকা, কাপড়, মোদীর ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে মঞ্চের দখল নেয় ঘাসফুলের সাজসজ্জা। রাত জেগে কাজ শেষ করেন শ্রমিকেরা। মোদীর সভা সন্ধ্যায় হওয়ায় মঞ্চের উপরে চাঁদোয়ার প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু শাসক দলের সভা দুপুর থেকেই শুরু হওয়ার কথা থাকায় মাথায় আচ্ছাদন দেওয়া হয়। সেখানেই এ দিন বেলা ১টা থেকে জমতে শুরু করে ভিড়।
রবিবার মোদী শ্রীরামপুর আসছেন শুনে তৃণমূলও তড়িঘড়ি সোমবার শ্রীরামপুর স্টেডিয়ামে সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। দিন কয়েক আগে স্টেডিয়াম ঘেঁষা স্পোটির্ং মাঠে সভা করে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেও। এ দিন ৪টে নাগাদ আসেন মুকুলবাবু। বক্তৃতার শুরুতেই বলেন, “মোদী এখানে সভা করে গিয়েছেন। সকলেই জানতে উৎসুক, তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমরা কী বলি।” জনতার সেই ঔৎসুক্য মেটাতে কিছুমাত্র দ্বিধা করেননি তৃণমূলের এই প্রথম সারির নেতা। মোদীর কড়া সমালোচনা তো বটেই, পাশাপাশি সিপিএম এবং কংগ্রেসকেও এক হাত নেন মুকুলবাবু। তাঁর দাবি, সংবাদমাধ্যমের একাংশ ছাড়া বাপ্পি লাহিড়ী এই কেন্দ্রে জিততে পারে, তা কেউ বিশ্বাসই করে না। তাঁর মতে, ভোট কাটাকাটি করে সিপিএমকে সুবিধা করে দিতেই বিজেপি শ্রীরামপুর কেন্দ্রে বাপ্পিকে দাঁড় করিয়ে হইচই জুড়ে দিয়েছে।
শ্রীরামপুরে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে মুকুলবাবুর মূল্যায়ণ, গত পাঁচ বছরে কাজের নিরিখে উনি দেশের মধ্যে এক জন অন্যতম সেরা সাংসদ। কল্যাণবাবুর ‘কড়া ব্যবহার’ নিয়ে দলের ভিতরে-বাইরে নানা সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে মুকুলবাবুর মত, “কল্যাণ আসলে একটু সোজাসুজি বলে দেন। যেটা পারেন না, তা নিয়ে কোনও মিথ্যা আশ্বাস দেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy