দীর্ঘ দিন পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়ানোর পর ফ্রেজারগঞ্জ যাওয়ার পথে মঙ্গলবার বৈদ্যবাটির দিল্লি রোডে রেলব্রিজ এলাকায় গাঁজা-সমেত শ্রীরামপুরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী কেলো ওরফে রঞ্জিৎ সিংহকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধরা পড়েছে তার তিন শাগরেদও। পুলিশের দাবি, কেলোর কাছ থেকে একটি নাইনএমএম পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়ি ও চারটি মোবাইল ফোনও।
কেলো একটি কালো রঙের গাড়ি নিয়ে দিল্লি রোডে চক্কর কাটছে, মঙ্গলবার রাতে এই খবর পেয়ে পুলিশ ধাওয়া করে তাকে। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় কেলো জানিয়েছে, নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সে ফ্রেজারগঞ্জ যাচ্ছিল।
পুলিশ জানায়, গত বছর মে মাসে শ্রীরামপুরেরই খটিরবাজার এলাকার দুষ্কৃতী বান্টির শাগরেদ বলে পরিচিত বিশ্বজিৎ কুণ্ডু এবং সুমন্ত চক্রবর্তী ওরফে পাপাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয় বন্ধ রামপুরিয়া কটন মিল থেকে। অভিযোগ, হুলো-কেলোর শাগরেদ সুজিতের বাড়ির উঠোনে দু’জনকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়। তার পরে বলে অভিযোগ। দেহ দু’টি প্লাস্টিকে মুড়ে ভ্যানরিকশায় চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওই কটন মিলের ভিতরে। সেখানেই গর্ত খুঁড়ে দেহ দু’টি পুঁতে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পরেই কেলো এবং তার দাদা হুলো (দীপু সিংহ) দলবল নিয়ে গ্যাংটকে গা-ঢাকা দেয়। হুলো পরে ধরা পড়লেও কেলো এত দিন পুলিশের নাগালের বাইরেই ছিল। শুধু ওই ঘটনাই নয়, শ্রীরামপুর থানা এলাকার বিভিন্ন সময়ে আরও তিনটি খুন হুলো-কেলো এবং তাদের শাগরেদরাই সংঘটিত করে বলে অভিযোগ। মোট পাঁচটি খুনের মামলায় কেলোর মাথায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ঝুলছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy