Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪

দুই গোষ্ঠীর মারামারি দেখে ফিরলেন প্রসূন

দুই গোষ্ঠীর ঝগড়া-হাতাহাতি দেখে প্রচার স্থগিত রেখে ফিরতে হল হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি ফিরে যাওয়ার পরে দুই গোষ্ঠীর লোকজন বোমাবাজিও করে বলে অভিযোগ। রাতে প্রসূন অবশ্য বলেন, “সে রকম কোনও ব্যাপার নয়। আমি কার কাছে আগে যাব, তাই নিয়েই একটু চিৎকার-চেঁচামেচি হয়েছে।” সোমবার সকালে ডোমজুড়ের কোলড়ায় ঘটনাটি ঘটে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডোমজুড় শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:২৮
Share: Save:

দুই গোষ্ঠীর ঝগড়া-হাতাহাতি দেখে প্রচার স্থগিত রেখে ফিরতে হল হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি ফিরে যাওয়ার পরে দুই গোষ্ঠীর লোকজন বোমাবাজিও করে বলে অভিযোগ। রাতে প্রসূন অবশ্য বলেন, “সে রকম কোনও ব্যাপার নয়। আমি কার কাছে আগে যাব, তাই নিয়েই একটু চিৎকার-চেঁচামেচি হয়েছে।”

সোমবার সকালে ডোমজুড়ের কোলড়ায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও তৃণমূল সূত্রের খবর, সকালে ধুলাগড়ি পঞ্চায়েত এলাকায় প্রসূনের প্রচার ছিল। শেষ হয় সাড়ে ১০টায়। এর পর তাঁর যাওয়ার কথা ছিল ডোমজুড়ের কোলড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকটি বুথে। সেই মতো হুডখোলা গাড়িতে তিনি দক্ষিণ কোলড়া গ্রামে যান। সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান মাসুদ মণ্ডল। কিন্তু মিছিল কিছুটা যেতেই নুনেবাঁধ এলাকায় কোলড়া ১ অঞ্চল সভাপতি মেহরাজ মল্লিকের নেতৃত্বে তাঁদের পথ আটকান অন্য গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকেরা। দাবি, তাঁদের পছন্দমাফিক রুটে মিছিল নিয়ে যেতে হবে। এই নিয়ে কাজিয়া বেধে যায়।

প্রসূনের মিছিলের সামনে ছিলেন সাঁকরাইলের বিধায়ক শীতল সর্দার। একটি গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকেরা তাঁকেও ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ। বিরক্ত প্রসূন কর্মসূচি বাতিল করে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে যান। পরে ফের মারপিটে জড়িয়ে পড়েন প্রধান এবং অঞ্চল সভাপতির অনুগামীরা। বোমাবাজিও হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ বোমাবাজির কথা মানেনি। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে ডোমজুড় থানায় অভিযোগ করেন। মাসুদ বলেন, “আমি প্রধান পদে বসার পর থেকেই সিপিএম থেকে আসা কিছু দুষ্কৃতীকে সঙ্গে নিয়ে অঞ্চল সভাপতি আমার প্রতিটি কাজে বাগড়া দিচ্ছেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এ দিন তিনি কর্মসূচি ভণ্ডুল করেন।” মেহরাজ কিছু বলতে চাননি। তবে শীতলবাবু বলেন, “প্রধান, অঞ্চল সভাপতির অনুগামীরা দলের প্রার্থীকে নিজেদের এলাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য টানাটানি শুরু করেন। এটা এমন কিছু বড় ঘটনা নয়। আমাকেও কেউ ধাক্কাধাক্কি করেননি।”

প্রসূন বলেন, “আসলে ঘুরতে ঘুরতে কোলড়া বাজারে পৌঁছতে কিছুটা দেরি হয়েছিল। মাসুদ আমাকে ওদের পার্টি অফিস দেখতে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু শীতলদা আমায় বলেন, ‘দেরি হয়ে যাবে। পরে যাব।’ শুরু হয় চেঁচামেচি। আমি তখন মাইকে বলি, এটা ঝগড়ার সময় নয়। আমি সবার কাছেই যাব।” শীতলবাবুর আশ্বাস, “পরে ওখানে ফের ভাল ভাবে প্রচার করা হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

loksabha election tmc prasun bandyopadhyay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE