এক দিনের বৃষ্টিতেই রাস্তার গর্তে জল জমে গিয়েছে উলুূবেড়িয়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে।—নিজস্ব চিত্র।
রাস্তা ধরে পাঁচ মিনিট হাঁটলেই পড়বে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। খানিকটা দূরেই রয়েছে বাউড়িয়া রেল স্টেশন। উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বুড়িখালির শ্যামসুন্দর চক এলাকায় সড়ক ও রেল পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এলাকার ভিতরের রাস্তাগুলি একেবারেই খারাপ বলে অভিযোগ তুলেছেন বাসিন্দারা। তাঁদের একাংশের বক্তব্য, অবিলম্বে রাস্তা মেরামত না করা হলে সামনের পুরভোটে কাউকেই ভোট দেবেন না তাঁরা।
ওই ওয়ার্ড এলাকার প্রায় দু’কিলোমিটারের খানিকটা বেশি অংশের রাস্তা বেশ কিছু দিন ধরে বেহাল বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার বাসিন্দারা। ২০১১ সালে রাস্তা মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু তার পরে আর সেই রাস্তার দিকে পুরসভা কোনও নজর দেয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। যদিও পুরসভা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, জুন মাসের প্রথম থেকেই রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু করা হবে।
বুড়িখালি স্টেশন রোড থেকে কাজীর চড়া মোড়ে যাওয়ার দিকে এগোলেই ডান পাশ থেকে শুরু হয় শ্যামসুুন্দরচক কলোনি। এলাকায় প্রায় ছ’হাজার মানুষের বাস। প্রায় বারো ফুট দীর্ঘ রাস্তাটি পাশের মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। পিচ উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে ভাঙা ইটের রাস্তা। একদিনের কয়েক পশলা বৃষ্টিতেই রাস্তার খানাখন্দ জলে ভরে গিয়েছে। রাস্তার পাশেই রয়েছে নার্সাারি ও একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। কলোনীর ভিতরে ঢুকতেই রয়েছে আর একটি মাধ্যমিক স্কুল। এছাড়াও বুড়িখালি হাইস্কুলের বেশির ভাগ পড়ুয়াই এই এলাকার বাসিন্দা। তারাও সমস্যায়। ফলে সাধারণ মানুষ তো বটেই, পড়ুয়ারাও এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের ফলে চরম সমস্যায় পড়ছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তার এতটাই খারাপ অবস্থা যে সাইকেল, বা মোটর সাইকেল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও যাওয়া যায় না। স্থানীয় এক বাসিন্দা সোমনাথ করগুপ্ত বলেন, “শ্যামসুন্দরচক এলাকার গোটা রাস্তারই বেহাল অবস্থা। শুধু গলির রাস্তাগুলি সারানো হয়েছে। অথচ প্রধান যে রাস্তা দিয়ে বেশিরভাগ মানুষ যাতায়াত করেন, সেগুলিই সারানো হচ্ছে না।”
এ নিয়ে উলুবেড়িয়া পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের নেতা সাবিরুদ্দিন মোল্লা বলেন, “শুধু এই রাস্তা নয়, পুরসভার বেশিরভাগ রাস্তারই একই অবস্থা। তৃণমূল প্রায় তিন বছর ধরে পুরসভার ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু রাস্তা ঠিক করার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি।”
স্থানীয় কাউন্সিলর তৃণমূলের সাধনা বারিক বলেন, “জুন মাস থেকেই কাজ শুরু হবে। প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন ভাবে রাস্তা তৈরি করা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy