মৈত্রী এক্সপ্রেস। — ফাইল চিত্র।
চার দিন বন্ধ থাকার পর বুধবারই পেট্রাপোল দিয়ে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। কিন্তু দু’দেশের মধ্যে যাতায়াতকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হল না। বৃহস্পতিবার ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৭ জুলাই, শনিবার কলকাতা থেকে ঢাকাগামী এবং ঢাকা থেকে কলকাতাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস বাতিলই থাকবে। বাংলাদেশের তরফে পাওয়া বার্তার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে রেল।
রেল জানিয়েছে, শনিবার কলকাতা থেকে রওনা হওয়ার কথা ছিল ১৩১০৮ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেসের। একই দিনে ঢাকা থেকে রওনা হওয়ার কথা ছিল ১৩১১০ ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেসের। ওই ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কলকাতার বিশেষ টিকিট কাউন্টারে টিকিটের দাম ফেরত পাবেন যাত্রীরা। কোনও যাত্রী টিকিট হারিয়ে ফেললে টাকা ফেরত পাবেন না। বিদেশি যাত্রীদের প্যাসেঞ্জার রিজ়ার্ভেশন সিস্টেম (পিআরএস)-এর কাজের সময় টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে সম্প্রতি উত্তপ্ত হয় বাংলাদেশ। তার জেরেই গত ১৯ জুলাই এই মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং কলকাতা-খুলনার মধ্যে যাতায়াতকারী বন্ধন এক্সপ্রেস বাতিল করে শেখ হাসিনার সরকার। বাংলাদেশের পরিস্থিতি আগের থেকে কিছুটা ভাল হলেও চালু করা হল না মৈত্রী এক্সপ্রেস।
পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে গত শনিবার পেট্রাপোল বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল ভারত। ধীর গতিতে হচ্ছিল পণ্য আমদানি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল, বাংলাদেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ। সে কারণে সে দেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে রফতানি বন্ধ রাখা হয়েছে। রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে সীমান্তের এ পারে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে পণ্যবাহী গাড়ি, ট্রাক। দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পেট্রাপোল বন্দরের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকেরা। চার দিন পর, বুধবার সেই পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে আমদানি-রফতানি। বন্দর সূত্রে খবর, পেট্রাপোল বন্দরে ৮০০-র উপরে পণ্যবাহী গাড়ি, ট্রাক দাঁড়িয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই গাড়িগুলি বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। শুরু হয়েছে আমদানিও। পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, অবশেষে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশের বেনাপোলে ইন্টারনেটে সমস্যা থাকার কারণে ধীর গতিতে চলছে ব্যবসা। পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।
আংশিক শিথিল হলেও বাংলাদেশে এখনও জারি রয়েছে কার্ফু। বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী কার্ফুর ষষ্ঠ দিন। মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিনের সাধারণ ছুটির পর, তা আর নতুন করে বাড়ানো হয়নি। বুধবার থেকেই ঢাকা-সহ চার জেলায় সাত ঘণ্টার জন্য কার্ফু শিথিল করা হয়েছে। চার ঘণ্টার জন্য খুলেছে অফিস-কাছারি। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিও সীমিত পরিসরে খোলা রাখার অনুমতি পেয়েছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এখনই খুলছে না বলে ‘বিবিসি বাংলা’কে জানিয়েছেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy