Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
আছেন কেষ্ট, ধরে কে

ডিজি দিলেন ক্লিনচিট, সঙ্গীরা পেটাল পুলিশকে

খুনের মামলায় নেতার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে নস্যাৎ করলেন রাজ্যের পুলিশ প্রধান। অথচ কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁর বাহিনীরই নিচুতলার কিছু কর্মীকে থানায় ঢুকে হেনস্থা করে গেল সেই নেতার অনুগামীরা! কর্তারা হাত গুটিয়ে রইলেন। ক্ষোভে ফুঁসলেন সাধারণ পুলিশকর্মীর দল। যা সামাল দিতে পরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও গ্রেফতারে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে।

ছত্রচ্ছায়ায়। সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের সুদীপ্ত ঘোষ, অনুব্রত মণ্ডল এবং মনিরুল ইসলাম। —ফাইল চিত্র।

ছত্রচ্ছায়ায়। সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের সুদীপ্ত ঘোষ, অনুব্রত মণ্ডল এবং মনিরুল ইসলাম। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:১০
Share: Save:

খুনের মামলায় নেতার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে নস্যাৎ করলেন রাজ্যের পুলিশ প্রধান। অথচ কয়েক ঘণ্টা আগে তাঁর বাহিনীরই নিচুতলার কিছু কর্মীকে থানায় ঢুকে হেনস্থা করে গেল সেই নেতার অনুগামীরা! কর্তারা হাত গুটিয়ে রইলেন। ক্ষোভে ফুঁসলেন সাধারণ পুলিশকর্মীর দল। যা সামাল দিতে পরে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও গ্রেফতারে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে।

এবং পুরো ঘটনাবলির প্রেক্ষাপটে ঘুরে-ফিরে উঠে আসছে সেই এক জনেরই নাম অনুব্রত (ওরফে কেষ্ট) মণ্ডল। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি।

বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য পুলিশের ডিজি জিএমপি রেড্ডি যখন পাড়ুই-মামলার মূল অভিযুক্ত অনুব্রতকে চার্জশিট থেকে রেহাই দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করছেন, তখন বোলপুরের পুলিশ লাইনে ফুঁসছেন পুলিশকর্মীরা। ওঁদের অভিযোগ: বুধবার রাতে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ এক নেতা সদলবল থানায় চড়াও হয়ে ডিউটি অফিসার-সহ বেশ কিছু পুলিশকর্মীকে নিগ্রহ করে গিয়েছেন। তবু সেই নেতা, অর্থাৎ যুব তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি সুদীপ্ত ঘোষ ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিলের অনুমতি কর্তারা দিচ্ছেন না। নিচুতলার ক্ষোভের আভাস পেয়ে এ দিন রাতে অবশ্য সুদীপ্ত ও তাঁর ৯ সঙ্গীর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধাদান, সরকারি কর্মীকে মারধর, হেনস্থা-সহ পাঁচটি ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। কিন্তু রাত পর্যন্ত কেউ ধরা পড়েনি।

ঘরোয়া চাপের মুখে অনুব্রত-অনুগামীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করলেও খোদ অনুব্রতকে পাড়ুইয়ে সাগর ঘোষ খুনের অভিযোগ থেকে পুলিশ পুরোপুরি রেহাই দিতে চলেছে। অন্তত এ দিন হাইকোর্টে ডিজি-র বক্তব্যে তারই ইঙ্গিত। পাড়ুই-তদন্তে হাইকোর্টের গড়ে দেওয়া বিশেষ দল (সিট) কেন হাইকোর্টকে না-জানিয়ে নিম্ন আদালতে চার্জশিট দিল, তার ব্যাখ্যা চেয়ে এ দিন ডিজি’কে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিচারপতি হরিশ টন্ডন। আদালত এ-ও জানতে চায়, অনুব্রতের নাম চার্জশিটে নেই কেন? ডিজি ব্যাখ্যা দেন, ২০১৩-র ১৮ এপ্রিল অনুব্রতের সেই ‘উস্কানিমূলক’ বক্তৃতার সঙ্গে ২১ জুলাই সাগর-খুনের সরাসরি যোগ নেই।

অর্থাৎ, সাগর-হত্যা মামলায় পুলিশ অনুব্রতকে গ্রেফতার করবে না। সাগরবাবুর পরিবার অবশ্য অনুব্রত ও বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরীকে প্রধান অভিযুক্ত করেই লিখিত অভিযোগ করেছিল। তবু সিট চার্জশিট থেকে দু’জনের নামই বাদ দিয়েছে। বোলপুরে পুলিশ নিগ্রহে প্রধান অভিযুক্ত সুদীপ্তবাবুও এ দিন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অনুব্রতও দাঁড়িয়েছেন অনুগামীর পাশে। জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলছেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই সুদীপ্ত ঘোষ-সহ দশ জনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।” কিন্তু পাড়ুই-কাণ্ডে অনুব্রতের গ্রেফতারের প্রসঙ্গ যত বার উঠেছে, তত বারই এসপি এড়িয়ে গিয়েছেন।

বীরভূমে শাসকদলের বিরুদ্ধে পুলিশের উপরে হামলার অভিযোগ নতুন কিছু নয়। স্বয়ং অনুব্রত প্রকাশ্য মঞ্চে দাঁড়িয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের বলেছিলেন পুলিশের উপরে বোমা মারতে। সে জন্য পরে তিনি ক্ষমা চাইলেও দলীয় কর্মীদের সংযত করা যায়নি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। গত জুলাইয়ে খয়রাশোলের লোকপুর ফাঁড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে। ফাঁড়ি ইন-চার্জকে মারধর-সহ একাধিক ধারায় পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে। তার আগের মাসে দুবরাজপুরে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশ আক্রান্ত হয়। বোমায় মারাত্মক জখম হন দুবরাজপুর থানার তরুণ এসআই অমিত চক্রবর্তী। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান। ওই ঘটনাতেও তির মূলত শাসকদলের দিকে। অন্যতম অভিযুক্ত যিনি, দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সেই শেখ আলিমকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করে উঠতে পারেনি।

তার পরে বোলপুর থানায় বুধবারের হামলা। ডিজি এ দিন দুপুরে হাইকোর্ট থেকে নবান্নে ফেরত যাওয়ার পরে তাঁকে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, “পুরো ঘটনার কথা জানি না। জানতে চেয়েছি।” নবান্ন-সূত্রের খবর, পুলিশের নিচুতলায় ক্ষোভের খবর পেয়ে ডিজি-ই সুদীপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের নির্দেশ দেন। নানা ‘রাজনৈতিক চাপ’ কাটিয়ে নির্দেশ কার্যকর করতে করতে বেলা গড়িয়ে যায়।

কিন্তু সেই ডিজি-ই এ দিন হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে পাড়ুই-কাণ্ডে অনুব্রতকে রেহাই দেওয়ায় বিরোধীরা শঙ্কিত। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি

অধীর চৌধুরীর কথায়, “যারা পুলিশকে বোমা মারতে বলেছে, ডিজি তাদের ক্লিনচিট দিয়েছেন! এর চেয়ে হাস্যকর, সঙ্কীর্ণ ও পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা এক জন পুলিশ অফিসারের আর হতে পারে না!” রাজ্য সরকার অপরাধীদের ‘যেন তেন প্রকারেন’ রক্ষা করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ জানিয়ে অধীরের মন্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলকর্মীদের বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল করো, সরকার পাশে থাকবে!” বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুর আক্ষেপ, “যারা পুলিশকে বোমা মারতে বলে, পুলিশ তাদের আড়াল করলে রাজ্য তো রসাতলে যাবে!” বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের কটাক্ষ, “প্রতিদিন তাণ্ডব হচ্ছে, যদুবংশ ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে।” ডিজি-র পদত্যাগ দাবি করেছেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ।

উল্টো দিকে সরকারের তরফে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে রাজ্যের পুর-নগরোন্নয়নমন্ত্রী ববি হাকিম এ দিন টেনে এনেছেন বামফ্রন্ট জমানাকে। “রাজনৈতিক স্বার্থে রাজ্যের আইনজীবীদের দিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে হাইকোর্টকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হয়েছে।” বলেন ফিরহাদ। তাঁর দাবি, “বুদ্ধবাবুও (তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য) তো বলেছিলেন, মাথা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব! ওই মন্তব্যের পরেই নেতাই ঘটেছিল। তা হলে বুদ্ধবাবুকেও গ্রেফতার করতে হয়!” শুনে বাম নেতাদের পাল্টা যুক্তি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারিটি দিয়েছিলেন নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে, যারা অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছিল।

বুধবার রাতে ঠিক কী ঘটেছিল বোলপুর থানায়?

জেলা পুলিশের খবর: বোলপুর থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়, যেখানে বসে অনুব্রত দল পরিচালনা করেন। সুদীপ্তও মাঝে-মধ্যে বসেন। থানার পুলিশের একাংশের অভিযোগ, বুধবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ওই অফিস থেকেই ১০-১২ জন মদ্যপ অবস্থায় থানায় ঢুকে পড়ে, সুদীপ্তের নেতৃত্বে। দলে ছিলেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের বোলপুর ব্লক সভাপতি

ওমর শেখও। প্রত্যক্ষদর্শী এক পুলিশকর্মী জানান, সুদীপ্ত ডিউটি অফিসার শামিম খানকে জিজ্ঞাসা করেন, তোর আইসি কোথায়? ডিউটি অফিসার সুদীপ্তের পরিচয় জানতে চেয়ে পাল্টা জানতে চান, আইসির সঙ্গে তাঁর কী দরকার? “শুনেই সুদীপ্ত গলা চড়িয়ে বললেন, আমরা কারা মানে? বোলপুরে চাকরি করছিস, আর আমাকে চিনিস না? আমি কে দেখবি? আমি তৃণমূলের নেতা! যুব সভাপতি।’’ জানাচ্ছেন ওই পুলিশকর্মী।

ধমকিতেই শেষ হয়নি। অভিযোগ, সুদীপ্ত ডিউটি অফিসারের গায়ে হাতও তোলেন। তাঁকে ধাক্কা মেরে শাসানি দেন, ‘এখানে কাজ করতে হলে আমাকে চিনতে হবে। আমাদের কথা শুনতে হবে!’ এর পরে সুদীপ্ত ডিউটি অফিসারের পিঠে ঘুষি মারেন বলে অভিযোগ।

থানায় উপস্থিত অন্যান্য পুলিশকর্মী হতচকিত হয়ে পড়েন। তাঁরা জানিয়েছেন, আধ ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়ে সুদীপ্তেরা বুক ফুলিয়ে থানা ছাড়েন। পরে আইসি দেবকুমার রায় খবর পেয়ে পৌঁছান।

শাসকদলের যুবনেতার এ হেন তাণ্ডবের বিষয়ে জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ দিনভর মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন। সকাল থেকে বেশ ক’বার ফোন করা হলেও এসপি কিংবা বোলপুরের এসডিপিও ফোন ধরেননি। কিন্তু পুলিশ লাইনে নীচুতলার পুলিশকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের অনেকে এর বিহিত চান। বস্তুত ওঁদের চাপেই সন্ধ্যায় এসপি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। সুদীপ্ত-সহ তৃণমূলের দশ জনের বিরুদ্ধে ১৮৬, ৩৫৩, ৩৩২, ৫০৬ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে বোলপুর-শ্রীনিকেতন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আলেদ শেখেরও নাম রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

জেলা পুলিশের এক কর্তার স্বীকারোক্তি, “যে ভাবে চলছিল, তাতে এখনই ব্যবস্থা না-নিলে আমাদের কাজ করাই মুশকিল হয়ে পড়ত। নিচুতলার কর্মীদের মনোবল ইতিমধ্যে ভাঙতে শুরু করেছে।”

সুদীপ্ত অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সঙ্গীদের

নিয়ে থানায় যাওয়ার কথা মেনে নিলেও তাঁর দাবি, মারধর হয়নি। “এলাকায় নেশার ঠেক না-ভাঙার জন্য উত্তেজিত বাসিন্দাদের একাংশ তখন থানায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। অফিস থেকে আওয়াজ পেয়ে পরিস্থিতি সামলাতেই থানায় গিয়েছিলাম। ওঁদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিই।” বলেন যুবনেতা। আর অনুব্রতের দাবি, “সুদীপ্ত থানায় গিয়েছিল শুধু অভিযোগ জানাতে। মারধর করেনি। আইসি’র সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।”

অন্য দিকে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর: শহরের শুঁড়িপাড়ায় মঙ্গল সাহানি (বৃদ্ধা রেণু সরকার খুনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত) ও তার মা বুড়ি সাহানির মদতে দীর্ঘ দিন ধরে নেশার ঠেক চলে। বারবার পুলিশে জানিয়েও ফল হয়নি। বাসিন্দারাই মাঝে মধ্যে ঠেক ভেঙে দেন। বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ কিছু বাসিন্দা ঠেক ভাঙতে নেমেছিলেন। অভিযোগ, কিছু ক্ষণের মধ্যেই বুড়ির দলবল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তেড়ে আসে। শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। অভিযানকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁরা দুষ্কৃতীদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিতে থানায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভ অবশ্য মিনিট বিশেক পরেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবং তখন সেখানে সুদীপ্তদের দেখা যায়নি বলে পুলিশের দাবি।

তা হলে কীসের জন্য থানায় হঠাৎ হামলা?

পুলিশেরই একটি সূত্রের ব্যাখ্যা: গত ক’দিন যাবৎ আইসি’র নেতৃত্বে বোলপুর থানার পুলিশ নেশার কারবারে জড়িতদের ধরপাকড় শুরু করেছে। তৃণমূলের কিছু নিচুতলার কর্মীও ধরা পড়েছেন। সেই ইস্তক আইসি’র প্রতি রুষ্ট দলের ওই যুব নেতা। তাই তিনি আইসি’র খোঁজে থানায় চড়াও হয়েছিলেন। সদ্য ডিউটি অফিসারের পদে যোগ দেওয়া শামিম খান তাঁর সামনে পড়ে যান। অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত সুদীপ্ত তাঁর উপরেই হম্বিতম্বি শুরু করেন। পরে গায়ে হাত তোলেন।

ডিউটি অফিসার বা আইসি— এ দিন কেউই অবশ্য এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE