তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফাইল চিত্র
রবিবার তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ গ্রেফতার হয়েছেন। সঙ্গে দলীয় প্রচারে বেরিয়ে একের পর এক সভায় হামলার সম্মুখীন তৃণমূল প্রার্থীরা। তা সত্ত্বেও প্রার্থীদের পুরভোটের প্রচার চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিল দল। আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় ১৩টি পুরসভা ছয়টি নগর পঞ্চায়েতের ভোট। মোট ৩২৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হবে। এই প্রথমবার ত্রিপুরার পুরভোটে অংশ নিতে চলেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু প্রচারে বেরিয়ে বার বার বাধার সম্মুখীন হয়েছে তাঁরা,আক্রান্তও হয়েছে। কিন্তু রবিবার সবকিছু ছাপিয়ে সায়নীর গ্রেফতারির পাশাপাশি, থানার মধ্যেই আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ করেছে তৃণমূল। ফলে ভোটের আগে শেষ রবিবারের প্রচারে কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল প্রার্থীরা।
এমতাবস্থায়, সকাল সকাল আগরতলা পৌঁছেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সায়নীর গ্রেফাতারির আগে থেকেই সেখানে সক্রিয় রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব ও সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এমন আক্রমণের প্রভাব যাতে ভোটের ফলাফলে না পড়ে তার জন্য দলীয় প্রার্থীদের প্রচার চালাতে নির্দেশ দিয়েছে ত্রিপুরা তৃণমূলের কমিটি। মঙ্গলবার শেষ হয়ে যাচ্ছে পুরভোটের প্রচারপর্ব। তাই শেষ লগ্নের প্রচার যাতে কোনওভাবেই মার না খায় সেদিকেই নজর রাখতে হবে বলেই মনে করছে ত্রিপুরা তৃণমূলের স্টিয়ারিং কমিটি।
আগরতলা তৃণমূলের নেতা হিমাদ্রি বণিক বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থীরা যেমন আক্রান্ত হয়েছেন। বিজেপি-র হাতে আমাদের শীর্ষ নেতারাও আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু আমাদের নেতৃত্বের নির্দেশ কোনওভাবেই লড়াইয়ের জমি ছাড়া যাবে না। তাই আমাদের প্রার্থীরা দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে যাচ্ছেন। যাতে ভোটের ময়দানে বিজেপি কোনওভাবেই সহজ জয়ের সুযোগ পেয়ে না যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy