ছবি সংগৃহীত।
ভাঁড়ারের বর্তমান দুর্দশায় কোনও কেন্দ্রীয় উৎস থেকেই বরাদ্দ বা সাহায্য-অনুদান হাতছাড়া করতে চাইছে না রাজ্য সরকার। শিক্ষার ক্ষেত্রেও তা-ই। এই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গের সব কলেজই যাতে ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (নাক)-এর মূল্যায়নে যোগ দেয়, সেই বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলিকে নিয়ে অনলাইনে প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে।কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি থেকে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির আর্থিক সাহায্য পাওয়ার বিষয়টি অনেকাংশেই নির্ভর করে নাকের মূল্যায়নের উপরে।
নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ বছর অন্তর সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নাকের মূল্যায়নে যোগ দিতে হয়। কিন্তু এই রাজ্যে কিছু কলেজ সেই মূল্যায়নে নিয়মিত যোগ দিলেও অনেককলেজ এক বার যোগ দিয়ে আর সেই বিষয়ে কোনও রকম আগ্রহ দেখায়নি। কোনও কোনও কলেজ কখনওইযোগ দেয়নি ওই কেন্দ্রীয় মূল্যায়নে। অথচ ওই মূল্যায়নে যোগ দিলে দু’টি কাজ হয়— একটা সর্বভারতীয় মূল্যায়ন আর বরাদ্দের পথ মসৃণতর করা।
রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানান, যাতে এই বাংলার ১০০% উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাকের মূল্যায়নে নিয়মিত যোগ দেয়, তাঁদের দফতর এ বার সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে। চলছে এই বিষয়ে অনলাইনে সচেতনতা এবং তালিমের প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী কলকাতার একটি কলেজের অধ্যক্ষের বক্তব্য, ৩১ অগস্টের মধ্যে নাকের ওয়েবসাইটে কলেজের বার্ষিক কোয়ালিটি অ্যাশিয়োরেন্স রিপোর্ট (একিউএআর) জমা দিতে হবে বলে তাঁদের জানানো হয়েছে। তার পরে আবার ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কলেজের সেল্ফ স্টাডি রিপোর্ট (এসএসআর) নাকের দফতরে জমা দিতে হবে। তারই তালিম চলছে।
উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এই প্রক্রিয়া চালানোর সঙ্গে সঙ্গে যে-সব কলেজ আগে কখনওই কেন্দ্রীয় মূল্যায়নের জন্য আবেদন করেনি, তাদের আবেদন করার পদ্ধতি হাতে-কলমে বোঝানোর জন্য উচ্চশিক্ষা সংসদ অগস্টের শেষে কয়েক দিনের ওয়ার্কশপের আয়োজন করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy