শ্রীরামপুরে দু’দিনে মৃত মেহেরুন্নিসা (ডান দিকে) এবং মৌসুমিকুমারী হেলা। —নিজস্ব চিত্র।
হুগলি জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা দিন কয়েক ধরে ঊর্ধ্বমুখী। গত দু’দিনে শুধুমাত্র শ্রীরামপুরেই দু’জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। জেলার মধ্যে শ্রীরামপুর এবং উত্তরপাড়ায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
জেলার স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, শ্রীরামপুরে দু’দিনে মৃতদের নাম মেহেরুন্নিসা (৪৮) এবং মৌসুমিকুমারী হেলা (২৭)। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মেহেরুন্নিসার মৃত্যু হয় রবিবার। তিনি শ্রীরামপুর ওয়ালশ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে শারীরিক অবস্থায় অবনতি হওয়ায় তাঁকে সেখান থেকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই মারা যান মেহেরুন্নিসা। এর পরের দিন ভোরে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে মারা যান মৌসুমি। তিনি ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরেই হুগলি জেলার শহরাঞ্চল এবং গ্রামাঞ্চলের ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ছে। উৎসবের মরসুমে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও বেড়েছে। সবচেয়ে ডেঙ্গি ধরা পড়েছে শ্রীরামপুর এবং উত্তরপাড়ায়। শ্রীরামপুরের ওয়ালশ হাসপাতাল এই মুহূর্তে কমপক্ষে ৭০ জন ডেঙ্গি রোগী ভর্তি রয়েছেন।
হুগলি জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ হাজার। তাঁদের মধ্যে সক্রিয় রোগী প্রায় ছ’শো জন। পাশাপাশি, আক্রান্তদের ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে শীতের আগে স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ধরাচ্ছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে একাধিক হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিক খোলা হয়েছে। জ্বর হলে রোগীকে ফেলে না রেখে রক্তপরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। তা সত্ত্বেও জেলার বাসিন্দাদের বিশেষ হেলদোল নেই বলে দাবি। কয়েক দিন জ্বরে ভোগার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রোগীকে। চিকিৎসকদের দাবি, রোগীর অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে তাঁকে আনায় তখন আর কিছু করার থাকছে না।
জেলায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি প্রশাসনের অব্যবস্থার অভিযোগ করেছেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর শম্ভুনাথ রায়। তিনি বলেন, ‘‘জুটমিল এলাকার নর্দমা ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না। ফলে জল জমে থাকে।’’ এর থেকেও ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy