প্রতীকী ছবি।
বাংলায় আইজেএমএ-র হাতে থাকা ১৮টি চটকলে ২৫% শ্রমিক নিয়ে কাজ শুরু করতে বলেছে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রক। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৫% শ্রমিককে নিয়ে সব চটকলেই কাজ করানোর। যত শতাংশ শ্রমিককে নিয়েই কাজ হোক, লকডাউনের মধ্যে কারও বেতন বন্ধ না রাখার দাবিতে সরব হল সিটু-সহ বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন।
শ্রমিক সংগঠনগুলির অভিযোগ, সরকারের ঘোষণা সত্ত্বেও লকডাউনের দিনগুলির জন্য বেতন বা মজুরি দেওয়া হচ্ছে না অধিকাংশ চটকলেই। তাদের দাবি, এর পরে যে সব চটকলে কাজ শুরু হবে, সেখানে লে-অফ আইন মেনে সব শ্রমিককেই মজুরি দিতে হবে। সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু বলেন, ‘‘শ্রমিকেরা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। কিন্তু চটকল কর্তৃপক্ষ কথা শুনছেন না। সরকার ২৫% না ১৫% শ্রমিক দিয়ে কাজ করাবে, তারাই ঠিক করবে। কিন্তু লে-অফ আইন মেনে সকলের মজুরি মিটিয়ে দিতে হবে, এটাই আমাদের মূল দাবি।’’ চটকলে শিফ্ট শুরু ও শেষে শ্রমিকদের ঢোকা-বেরোনোর সময়ে দূরত্বের নীতি বজায় রাখার বিষয়টিও নজর দেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি সুনিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন অনাদিবাবুরা। লকডাউনের সময়ে মজুরি না দেওয়ার প্রতিবাদে কাল, শুক্রবার সব চটকলের সামনে দূরত্ব নীতি মেনে অবস্থানেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।
ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ও বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, কিছু শ্রমিক মজুরি পেলেন আর বাকিরা পেলেন না— এই পরিস্থিতি তৈরি হলে নতুন সমস্যা দেখা দেবে। আগেই তাই আলোচনা করে পথ বার করা হোক। চা-শ্রমিকদের লকডাউনের সময়ের মজুরি মেটানোর বিষয়টিও মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy