দিল্লি ঢুকছে তৃণমূলের বাস। ছবি: সংগৃহীত।
দলীয় কর্মী-সমর্থক এবং একশো দিনের কাজের জব কার্ড হোল্ডারদের দিল্লি পৌঁছচ্ছে তৃণমূলের একের পর এক বাস। বাসযাত্রীদের প্রত্যেককেই রাখা হচ্ছে সেখানকার অম্বেডকর ভবনে। দলীয় সূত্রে খবর, ওই ভবনে বিশ্রাম নিয়েই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন দলের কর্মী এবং কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে ‘বঞ্চিত’ মানুষজনেরা। এই পরিস্থিতিতে সোমবার সকালেই অম্বেডকর ভবনে যায় দিল্লি পুলিশের একটি দল। ক’টি বাস এসেছে, ক’টি বাস আসার সম্ভাবনা রয়েছে, দিল্লিতে আসা কর্মীসমর্থকদের দেখভালের দায়িত্বে কারা রয়েছেন, সেই বিষয়ে খোঁজখবর নেয় পুলিশ।
পুলিশের এই ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়েই প্রশ্ন উঠছে তৃণমূলের অন্দরে। উল্লেখ্য যে, দিল্লি পুলিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন, যে মন্ত্রকের দায়িত্বভার সামলান নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভা ‘নম্বর টু’ অমিত শাহ। তাই এই ‘সক্রিয়তা’র নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নও তুলছেন তৃণমূলের কেউ কেউ। তবে প্রকাশ্যে এই নিয়ে এখনই মুখ খুলতে চাইছেন না শাসকদলের কেউই। অম্বেদকর ভবনে ইতিমধ্যেই একটি ‘হেল্প ডেস্ক’ খুলেছে তৃণমূল। তবে পুলিশের এই খোঁজখবর নেওয়া থেকে অনেকেই মনে করছেন যে, বাংলার শাসকদলের কর্মসূচির আগে সব তথ্য হাতের মুঠোয় রাখতে চাইছে তারা।
তৃণমূলের বেশ কয়েক জন মন্ত্রী, সাংসদ ও নেতানেত্রী রবিবার দুপুরের মধ্যেই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন। রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ রাজধানী পৌঁছন অভিষেক। এর পর দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা করে সাংসদ সোজা চলে যান সৌগতের বাসভবনে। দলীয় সূত্রে খবর, সেখানেই কৌশল-বৈঠক ও নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। সোমবারের কর্মসূচির রূপরেখা চূড়ান্ত হয় ওই বৈঠকে। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ বৈঠক শেষে বেরিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ রাজঘাটে গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দলীয় কর্মসূচির সূচনা হবে। সাংসদের কথায়, ‘‘আমাদের মূল আন্দোলনে ১০০ দিনের কাজে বকেয়া আদায় নিয়ে। এই ১০০ দিনের কাজ, যাকে মনরেগা বলে, তার সঙ্গে গান্ধীজির নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সেই কারণেই গান্ধীজির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।’’ তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্য নেতারা রাজঘাটে গিয়ে গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানাবেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার যন্তরমন্তরে দলের কর্মসূচি রয়েছে। তার জন্য দিল্লি পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। দলীয় সূত্রেরই দাবি, সেই অনুমতি মিলেছে। কিন্তু তার পরেও বিকল্প রাস্তার কথা ভেবে রাখা হচ্ছে। কারণ, যদি পরে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়, তা হলে কী কী করণীয়, তা নিয়ে পরে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে আপাতত স্থির রয়েছে।
দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যাওয়ার আগে অভিষেক হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, যতদিন না বাংলার মানুষ ‘প্রাপ্য়’ টাকা না পাবে, তত দিন আন্দোলন চলবে। বিজেপির উদ্দেশে তোপ দেগে তিনি বলেন, “আমি ফের বলছি, পারলে আমাকে আটকে দেখাও।” তৃণমূলের কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা বলেন, “যন্তর মন্তরে যা খুশি করুন, এপাং, ওপাং ঝপাং, আমরা সবাই কোলা ব্যাঙ, যন্তর মন্তরের বাইরে কিছু করতে যান, ওখানে কিন্তু বিনীত গোয়েল নেই, অমিত শাহের পুলিশ, লাঠির সাইজ ৬ ফুট।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy