কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। ফাইল চিত্র।
ধর্মপুত্র দিবাকর দেবরাজ সিংহ শান্তি প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। কিন্তু বারবার মূল স্রোতে ফেরার কথা বললেও ভারতে আসছেন না কেএলও প্রধান জীবন সিংহ। এ বার তাই বাবার বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দিবাকর। বললেন, অসম ও কেন্দ্রীয় সরকার কেএলও-র দাবি অনেকাংশে মেনে নিলেও জীবন কেন নিজে আলোচনায় বসছেন না- সেই জবাব তাঁর কাছেও নেই।
চার দিন আগেই জীবন সিংহ অডিয়ো বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেএলও-র দাবি মতো বৃহত্তর কোচ-কমতাপুর রাজ্য গঠনে সম্মত হয়েছেন। তাই এ বছরের মধ্যেই কমতাপুর গঠনের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করতে রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি জানান তিনি। সেই সঙ্গে সব কোচ দল-সংগঠনকে প্রক্রিয়ায় সহায়তা করারও আহ্বান জানান জীবন।
গত দেড়় বছর ধরে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার সঙ্গে আলোচনাক্রমে কেএলও-র শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করছেন জীবনের ধর্মপুত্র দিবাকর দেবরাজ সিংহ। এর আগে জীবন পুত্রের মাধ্যমে জানান, এ বছর ১৫ অগস্টের মধ্যেই তিনি দিল্লি গিয়ে আলোচনায় বসবেন। একই বার্তা দিয়েছিলেন আনন্দবাজারকেও। কিন্তু তার কিছু পরেই তিনি নিজের মতো শান্তি কমিটি তৈরি করে দেন।
এ বারও জীবন ফের আলোচনার কথা বললেও দেশে ফেরার কথা বলছেন না। সে ক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চাপ বাড়ছে দিবাকরের উপরে। আজ আনন্দবাজারের প্রশ্নের জবাবে দিবাকর ক্ষোভ চেপে না রেখে বলেন, “কমতাপুরি জনতা বাবার আশায় রাস্তা দেখছে। কেন জনতার ভরসা বজায় রেখে বাবা কেন ফিরে আসছেন না জানি না! তিনি নিজেই বলছেন, সরকার তাঁর দাবি মেনেছে। নিজেই বলছেন, সকলের আলোচনা প্রক্রিয়ায় সাহায্য করা উচিত। ডিসেম্বরের মধ্যেই রাজ্য গঠনের কথাও বলছেন। কিন্তু তিনি সশরীরে আলোচনায় না বসলে যে কথা এগোবে না সেটা বুঝতে পারছেন না।”
দিবাকরের অনুযোগ, এ ভাবে মায়ানমারের জঙ্গলে বসে ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়ে সংগ্রাম বা সমাধানসূত্র কিছুই সম্ভব নয়। তিনি বলেন, “সরকার কিন্তু এখনও তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসতে ও তাঁর দাবি মানতে তৈরি। কিন্তু বাবা আলোচনায় কতটা আন্তরিক- তা আমি নিজেই বুঝতে পারছি না! এ ভাবে জনতা ও সরকারকে আশা দেখিয়ে সময় নষ্ট করা অর্থহীন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy