দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
এক সময়ে দলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁকে বহিষ্কার করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে অবশ্য দলে ফিরে আসেন তিনি। সম্প্রতি দলীয় পদও পান। এ বারে সেই দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কেই সাগরদিঘি কেন্দ্রে প্রার্থী করল তৃণমূল। এর ফলে স্থানীয় প্রার্থী চেয়ে শাসক দলের অন্দরে যে দাবি উঠেছিল, তা তো মিটলই, তা ছাড়া দেবাশিস সম্পর্কে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয়। দেবাশিসের বাবা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিসতুতো দিদি গায়ত্রীদেবী। তিনি মমতার মা। এখানে সভা করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন, ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে তিনি মাঝেমধ্যে সাগরদিঘির এই বাড়িতে আসতেন।
সাগরদিঘির বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুতে কেন্দ্রটি খালি হয়েছে। আগামী মাসে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেখানেই সাগরদিঘির সামসাবাদের বাসিন্দা দেবাশিসকে প্রার্থী করল তৃণমূল। তিনি থাকেন একটি মাটির বড় বাড়িতে। দু’ভাইয়ের মধ্যে ছোট দেবাশিসের রাজনীতিতে যোগ ২০০৭ সালে। তবে কোনও দিনই কোনও নির্বাচনে দাঁড়াননি। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের সময় দেবাশিসকে দল থেকে বহিষ্কার করেন খোদ মমতাই। সে সময় দলের নির্বাচনী সভার মঞ্চে দেবাশিসের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজ করার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর কানে যায়। তৎক্ষণাৎ তিনি দেবাশিসকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। তবে তৃণমূলের সঙ্গে দেবাশিসের দূরত্ব কখনওই খুব বেশি বাড়েনি। নির্বাচন পেরোতেই সাগরদিঘিতে আবার তৃণমূলের সামনের সারিতে দেখা যায় দেবাশিসকে। দলের কোনও পদ অবশ্য পেলেন গত বছর অগস্টে।
এ দিন দেবাশিস বলেন,“অতীত ভুলে সবাইকে নিয়েই চলতে চাই। সুব্রতদার (সুব্রত সাহা) পথেই এগিয়ে নিয়ে যাব সাগরদিঘিকে।” শাসক দলের কিছু নেতা অবশ্য চাইছিলেন, প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত সাহার পরিবারের কাউকেই প্রার্থী করা হোক। তবে তৃণমূলেরই একটি অংশের বক্তব্য, প্রার্থী ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরে আর কোনও দ্বন্দ্ব রইল না। তৃণমূলের উত্তর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা দেওয়াল লিখতে শুরু করে দিয়েছি। মঙ্গলবার সুব্রতের স্মরণ-সভা। তার পরেই জোরকদমে প্রচার শুরু হবে।’’ ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সুব্রত ৫০.৯৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। এ বারে ভোট বাড়বে বলে তৃণমূলের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy