প্রতীকী ছবি।
কেউ দায় নিয়ে জানিয়েছেন, দল যা শাস্তি দেবে, মাথা পেতে নেবেন। কেউ আবার দায় স্বীকার করে ইস্তফা দিতে চেয়েছেন।
আমপান-দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলের তরফে করা শো-কজ়ের জবাবে এমনই বয়ান নন্দীগ্রামের একগুচ্ছ নেতা-কর্মীর।
আমপানে বাড়ি ভাঙার ক্ষতিপূরণ বিলি নিয়ে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ ওঠার পরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় জেলায় ব্যবস্থা নেওয়া শুরুও হয়েছে। সেই মতোই নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেঘনাদ পাল মোট ১৮৮ জনকে শো-কজ়ের চিঠি ধরিয়েছিলেন। সেই তালিকায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সদস্য, বুথ সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতির মতো স্থানীয় নেতারা রয়েছেন। সোমবার ছিল জবাব দেওয়ার শেষ দিন। তৃণমূল সূত্রের খবর, বেশিরভাগ নেতাই জবাবি চিঠিতে অনিয়মের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন।
তৃণমূলের নন্দীগ্রাম বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান তথা ব্লক সভাপতি মেঘনাদ মানছেন, ‘‘দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তার জবাবে অনেকেই ভুল স্বীকার করেছেন। নৈতিক দায় মেনে একজন অঞ্চল সভাপতি ও একজন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইস্তফার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন।’’
এরপর কি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল? তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘যা ঘটেছে পুরো চিত্রটাই আমরা রাজ্যে পাঠাব। রাজ্য যা নির্দেশ দেবে জেলা তৃণমূল তা পালন করবে।’’ আজ, মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
যদিও এ সবই ‘ভাঁওতাবাজি’ বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বিজেপি-র তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পালের কটাক্ষ, ‘‘সাধারণ মানুষের চোখে ধুলো দিতে শো-কজ় আর তার জবাবে দায় স্বীকারের নাটক করছে তৃণমূল।’’ সিপিএমের রাজ্য নেতা সুজন চক্রবর্তীও বলেন, ‘‘এ সব লোকদেখানো শো-কজ়। তৃণমূলে নীতি, শৃঙ্খলা, বহিষ্কার আছে নাকি!’’
তৃণমূলের শতাধিক নেতা-কর্মীকে দলের তরফে শো-কজ় করায় নন্দীগ্রাম তথা গোটা জেলায় আলোড়ন পড়েছিল। জানা যাচ্ছে, ক্ষতিপূরণের টাকা বিলিতে অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসায় কেন্দেমারি-জালপাই পঞ্চায়েতের প্রধান মানসুরা বিবিকে শো-কজ় করা হয়। অভিযোগ ছিল, তাঁর মা পাশের পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা হওয়া সত্ত্বেও নিজের পঞ্চায়েতের বাসিন্দা হিসেবে দেখিয়ে মা-কে ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দিয়েছেন মানসুরা। বেশ কিছু নাবালককেও নাকি বাড়ির মালিক দেখিয়ে অন্যায্য ভাবে ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের সূত্রে খবর, শো-কজ়ের জবাবে অনিয়মের দায় স্বীকার করে পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মানসুরা। রবিবার ভেকুটিয়া ১ অঞ্চল সভাপতি পঙ্কজ দাসও একই কারণে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। মানসুরা ফোন ধরেননি। তবে পঙ্কজ বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আমার অঞ্চলে আমপানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে অনিয়ম ও স্বজনপোষণ হয়েছে, তা ছাড়া আমার ৭৪ বছর বয়স। এই তিন কারণেই ইস্তফা দিতে চেয়েছি। ব্লক সভাপতি নির্দেশ না দিলেও ইস্তফা দিতাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy