সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। —ফাইল চিত্র।
১০০ দিনের কাজ-সহ বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলার বকেয়া পাওনার দাবি নিয়ে বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিকেলে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে সিপিএমের রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করে দলকে ১০০ দিনের কাজে নামানোর কর্মসূচি ঘোষণা করলেন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তবে তা কেন্দ্রীয় প্রকল্প এমজিএনরেগা নয়, একেবারেই দলীয় কর্মসূচি।
গত ৩-৫ নভেম্বর সিপিএমের রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশন হয়েছিল হাওড়ায়। তার পর গত এক মাসে রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই জেলা কমিটির বর্ধিত অধিবেশন সেরে ফেলেছে সিপিএম। যে কয়েকটি বাকি রয়েছে তা-ও কয়েক দিনে হয়ে যাওয়ার কথা। এর পর আগামী ২৭-২৮ তারিখ ফের সিপিএম রাজ্য কমিটি অধিবেশনে বসবে। সেলিম বুধবার জানিয়েছেন, ওই বৈঠক থেকেই লোকসভা ভোটের লক্ষ্যে ১০০ দিনের কর্মসূচি স্থির করে দেওয়া হবে দলকে।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ভোটে বাংলায় শূন্য হয়ে গিয়েছিল সিপিএম। তার পর সময় যত এগিয়েছে, ভোটবাক্সে সিপিএম রক্তশূন্যতার জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। লোকসভা ভোটে সিপিএমের লক্ষ্য সম্মানজনক ভোট পাওয়া। অন্তত যাতে জামানত থাকে। গত নভেম্বরে সিপিএম ঠিক করেছিল বামফ্রন্টভুক্ত দলগুলির সঙ্গে ভোটের লক্ষ্যে আসন সমঝোতার আলোচনা শুরু করবে। কথা বলবে কংগ্রেসের সঙ্গেও।
তবে বাম দলগুলির সঙ্গে সিপিএমের দ্বিপাক্ষিক কথা হলেও কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। অন্য দিকে, দিল্লি কংগ্রেস সূত্রে খবর, বাংলায় জোটের ব্যাপারে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসন সমঝোতার প্রাথমিক আলোচনা হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের পর বুধবার বাংলার কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছে হাইকমান্ড। সেই প্রেক্ষাপটে সেলিম বলেন, ‘‘কংগ্রেস কী করবে, কাদের সঙ্গে জোট করবে, তা বিধান ভবনকেই জানাতে হবে। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট— বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে যারা লড়বে আমাদের তাদের সঙ্গে সমঝোতা করতে কোনও আপত্তি নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy