ভারতে কমিউনিস্ট পার্টির ১০৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসে একটি ওয়েবসাইটের উদ্ধোধনে সীতারাম ইয়েচুরি, বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম এবং সূর্যকান্ত মিশ্র। সোমবার শহরে। ছবি: সুমন বল্লভ।
বিধানসভা ভোটে শূন্য হয়ে গেলেও এ রাজ্যে সিপিএমের কর্মসূচিতে আবার সাড়া মিলছে। আন্দোলন, কর্মসূচিও বাড়ছে। বাংলায় দলের জমি পুনরুদ্ধার হলে তবেই জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে বামেদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মন্তব্য করলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সেই সূত্রেই দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের ঘোষণা, আগামী নভেম্বরে বাংলার প্রতিটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পৌঁছনো তাঁদের আশু লক্ষ্য।
ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার ১০৩ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সোমবার প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনে দলীয় সভায় বক্তা ছিলেন সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্র, ইয়েচুরি এবং সেলিম। দলের তাত্ত্বিক মুখপত্রের ওয়েবসাইটেরও উদ্বোধন হয়েছে সেখানে। বাংলায় দলের সাম্প্রতিক কর্মসূচি এবং তাতে মানুষের সাড়া ঘিরে সমাজমাধ্যমে যে চর্চা হচ্ছে, তার উল্লেখ করে ইয়েচুরি বলেন, ‘‘দেখে ভাল লাগছে। বাংলাই বামপন্থী সংগ্রামের অগ্রবর্তী ঘাঁটি। বাংলায় বামপন্থীরা সাফল্য না পেলে অটলবিহারী বাজপেয়ীর এনডিএ-কে সরিয়ে ইউপিএ গঠনই সম্ভব হত না! তার আগেও যুক্ত ফ্রন্ট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বাংলার।’’ পরে সেলিমের মন্তব্য, ‘‘শুধু সমাজমাধ্যমে চর্চা নয়, বাস্তবেও ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চলছে। মানুষ সাড়া দিচ্ছেন। রাজ্য সম্মেলন শেষে ৭ মাস আগে আমরা বলেছিলাম, যারা রাজ্যের মানুষের ঘুম কেড়েছে, তাদের শান্তিতে ঘুমোতে দেব না! সেটাই আমরা করছি। তবে আত্মসন্তুষ্টির কোনও জায়গা নেই।’’
দেশ বদলের লক্ষ্যে এগোনোর আগে দেশকে বাঁচানোই যে এখন প্রথম কাজ এবং তার জন্য বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা যে জরুরি, সে কথা ফের বলেছেন ইয়েচুরি। তাঁর বক্তব্য, তামিলনাডু বা বিহারে যে ভাবে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বিজেপিকে রুখতে, রাজ্য স্তর থেকে সে ভাবেই কেন্দ্রীয় স্তরে এগোতে হবে। কিন্তু সব রাজ্যের পরিস্থিতি এক নয়। ইয়েচুরি পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, বিজেপির বিরোধিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের ধারবাহিকতার সমস্যা আছে। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ। তাই এ রাজ্যে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে সব শক্তি ও ব্যক্তিকে একজোট করার চেষ্টা দলকে চালিয়ে যেতে হবে। ইয়েচুরির মন্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগলোকে অপব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু গত ৮ বছরে কেন্দ্র ওই সংস্থাগুলোকে সদ্ব্যবহার করলে এখানে তৃণমূলের দুর্নীতি আরও আগে ধরা পড়তো!’’
আরও বেশি আন্দোলনের ডাক দিয়ে সেলিম বলেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোট একটা বড় চ্যালেঞ্জ। লুটেরাদের হাত থেকে পঞ্চায়েতকে মানুষের হাতে ফেরাতে হবে। নভেম্বরে একেবারে ভূমি স্তরে প্রতিটা গ্রামের মানুষের কাছে আমরা যেতে চাইছি। প্রতি বর্গমিটারে লাল ঝান্ডাকে পৌঁছতে হবে!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy