টালা থানায় বিক্ষোভে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, ধ্রুবজ্যোতি সাহা-সহ সিপিএমের যুব, মহিলা ও ছাত্র নেতৃত্ব। —নিজস্ব চিত্র।
অডিয়ো-ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দলের যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তের গ্রেফতারের ঘটনাকে আর জি কর-কাণ্ডের সঙ্গে জুড়ে নিয়েই প্রতিবাদে নামল সিপিএম। এক দিকে আজ, সোমবার কলকাতায় মিছিলের ডাক দেওয়া হল সিপিঁএমের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের ডাকে। তার পাশাপাশি কাল, মঙ্গলবার কলতানের জন্য কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ধৃত নেতার মুক্তির দাবিতে রবিবারই রাজ্য জুড়ে থানায় থানায় হয়েছে বিক্ষোভ।
একটি অডিয়ো-ক্লিপ সামনে এনে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, স্বাস্থ্য ভবনের কাছে জুনিয়র চিকিৎসকদের ধর্নায় হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র হয়েছিল রাজ্য প্রশাসন ও শাসক দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য। তার পরেই সঞ্জীব দাস নামে গড়ফার এক যুবক এবং কলতানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বিধাননগর এসিজেএম আদালত। আর জি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে শ্যামবাজারে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই এবং গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির যে লাগাতার অবস্থান চলছিল, সেখানেই এ দিন শিক্ষা ও কাজের দাবিতে বাৎসরিক সমাবেশের আয়োজন হয়েছিল। সেখানে ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘যাঁরা এই ষড়যন্ত্র (কলতানকে গ্রেফতার) করেছেন, তাঁদেরকে আইনি ভাবেই বুঝে নিতে হবে। আর রাস্তায় এঁদের চক্রান্ত বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব বামপন্থী ছাত্র, যুব ও মহিলা সংসগঠন নিজেদের কাঁধে নিচ্ছে।’’ ওই তিন সংগঠনই আজ হেদুয়া থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে কলতানের মুক্তির দাবিতে।
সমাবেশে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে ও রাজ্য সভাপতি প্রণয় কার্যী, সর্বভারতীয় নেত্রী দীপ্সিতা ধর, ডিওয়াইএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য, মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষেরা কলতান-প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন। পরে টালা থানায় বিক্ষোভে গিয়েছিলেন মীনাক্ষী, দীপ্সিতারা। আইনি ব্যবস্থার দাবি তুলে কুণালকে আক্রমণ করেছেন দীপ্সিতা। মীনাক্ষীর মন্তব্য, ‘‘আমাদের প্রশ্ন, কুণাল ঘোষের প্রেস বিবৃতিতে পুলিশ নড়ল? নাকি পুলিশ ঠিক করে দিল, যা করার কুণাল করবেন? পুলিশ কমিশনারের নাম কি বিনীত গোয়েল থেকে পাল্টে কুণাল ঘোষ হয়ে গেল?’’ দীপ্সিতাদের জবাবে তৃণমূলের কুণালের অবশ্য পাল্টা দাবি, ‘‘অডিয়ো আপনাদের অনেকের কাছেই ছিল, সেখান থেকে লিক! আসল কথা, ওই হামলার ভয়ঙ্কর চক্রান্ত যদি ঠিক হয়, এক সংলাপকারী স্বীকারও করেছেন, তার পরেও কথা?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy