ত্রিপুরায় হামলার বিরুদ্ধে প্রচার ও অর্থ সংগ্রহে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র। নিজস্ব চিত্র।
ত্রিপুরায় বিজেপির ‘হামলা’র ঘটনাকে হাতিয়ার করে রাস্তায় নামলেন সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। কোভিড পরিস্থিতিজনিত বিধিনিষেধের কারণে রাজ্যে বামেদের বড় কর্মসূচি এখন হচ্ছে না। তার উপরে শুরু হয়ে গিয়েছে দলের সম্মেলন-পর্ব। এমতাবস্থায় ত্রিপুরায় গেরুয়া সন্ত্রাসের অভিযোগকে সামনে রেখে এ রাজ্যেও জনসংযোগের চেষ্টা চালাচ্ছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির ভূমিকা সম্পর্কে প্রচার এবং ত্রিপুরায় আক্রান্ত দলীয় দফতর ও কর্মী-সমর্থকদের সহায়তায় অর্থ সংগ্রহের জন্য বুধবার কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় পথে নেমেছিলেন রাজ্য সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব।
নিউ মার্কেট চত্বরে ঘুরে ঘুরে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন দলের বর্ষীয়ান পলিটবুরো সদস্য বিমান বসু। পথচলতি মানুষের কাছ থেকে, দোকানে দোকানে গিয়ে চাঁদা তোলেন তিনি। শ্যামবাজারে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, গড়িয়াহাটে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। বেহালায় ১৪ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে সংক্ষিপ্ত সভাও করেন দলের আর এক পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম। সূর্যবাবু বলেছেন, ত্রিপুরায় বাম নেতা-কর্মীরা প্রতিরোধ করছেন। কিন্তু ফ্যাসিবাদী আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইটা শুধু ত্রিপুরার নয়। সেখানে হামলা হলে এ রাজ্যের কর্মী-সমর্থকদের পথে নেমে প্রতিবাদের জন্য তৈরি থাকার ডাক দিয়েছেন তিনি। দেশের সরকারি সম্পদ যে ভাবে নানা ‘গালভরা প্রকল্পের নামে’ বিক্রি করা হচ্ছে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেই পাল্টা ‘অ্যান্টি-ন্যাশনাল’ বলে আক্রমণ করছেন সূর্যবাবুরা। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও ত্রিপুরার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকারের অভিযোগ, উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যকে ‘একদলীয়, স্বৈরতান্ত্রিক, ফ্যাসিস্তসুলভ শাসনের গবেষণাগার’ বানাচ্ছে বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুরে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে আজ, বৃহস্পতিবার আসার কথা ইয়েচুরির। পর দিন, শুক্রবার তাঁর কলকাতায় দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে থাকার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy