মহম্মদ সেলিম। —ছবি সংগৃহীত।
যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় সোমবার সরাসরি সিপিএমকে দায়ী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইনডোরে ইমাম–মোয়াজ্জেমদের সম্মেলন থেকে মমতা বলেছিলেন, ‘‘সিপিএমের ইউনিয়ন যাদবপুরের ছেলেটাকে মেরে দিল!’’ মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে মমতাকে পাল্টা জবাব দিতে চাইলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিম্নশ্রেণির মিথ্যাচার করেছেন। যে ১৩ জন ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে কে সিপিএম আর কে এসএফআই?’’
সেলিমের আরও অভিযোগ, ‘‘মমতা আসল অপরাধীদের আড়াল করতেই সিপিএমের নাম নিচ্ছেন। জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডের সময়েও সিপিএমের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছিলেন। ওঁকে বুঝতে হবে, তিনি আর বিরোধী নেত্রী নেই। আর কবে প্রশাসক হবেন?’’ যাদবপুকাণ্ডে যাঁরা এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েছেন, তাঁদের পূর্বসূরিরা তৃণমূলের হয়ে সিপিএম ‘নিকেশ’ করতে কাজ করেছিল বলেও অভিযোগ করেন সেলিম।
২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। প্রতি বছরের মতো এ বারও মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সমাবেশ করবে শাসদকদলের ছাত্র সংগঠন। সিপিএমের অনুমান, ওই দিন ছাত্র সংগঠনের মঞ্চ থেকে যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে আর এক দফা তাঁদের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে পারেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। সেটা আন্দাজ করেই সিপিএমের ছাত্র সংগঠন পাল্টা সভার আয়োজন করেছে। পরের দিন অর্থাৎ ২৯ অগস্ট যাদবপুর এইট বি-তে সভা ডেকেছে এসএফআই।
মেয়ো রোডের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার কথা। আর এসএফআইয়ের সভায় সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পলিটব্যুরোর সদস্য নীলোৎপল বসু এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বক্তৃতা দেবেন। ঘটনাচক্রে, এই তিন নেতাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy