Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

বংশ-গৌরাঙ্গ দ্বৈরথে বাজিমাত কি পার্থের

সিপিএমের অন্দরের দ্বন্দ্ব উস্কে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! সাবেক বর্ধমানকে ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিমের জন্য আলাদা জেলার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই সিদ্ধান্তের পরেই পশ্চিম বর্ধমানের জন্য নতুন জেলা সম্পাদক বাছতে গিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে সিপিএমের ঘরে! এমনিতেই অমল হালদারদের বর্ধমানের সঙ্গে আলিমুদ্দিনের মতের বিরোধ ছিল নানা বিষয়ে।

সন্দীপন চক্রবর্তী
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:১৮
Share: Save:

সিপিএমের অন্দরের দ্বন্দ্ব উস্কে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!

সাবেক বর্ধমানকে ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিমের জন্য আলাদা জেলার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই সিদ্ধান্তের পরেই পশ্চিম বর্ধমানের জন্য নতুন জেলা সম্পাদক বাছতে গিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে সিপিএমের ঘরে! এমনিতেই অমল হালদারদের বর্ধমানের সঙ্গে আলিমুদ্দিনের মতের বিরোধ ছিল নানা বিষয়ে। যা তুঙ্গে পৌঁছেছিল গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রশ্নে। দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে কংগ্রেসের হাত ধরার প্রশ্নে প্রত্যেক বারই আলিমুদ্দিনের মতের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বর্ধমান। এখন নতুন জেলায় অমলবাবুদের অনুগামী কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, নাকি আলিমুদ্দিনের পছন্দের কেউ বসবেন— টানাটানি চলছে এই নিয়ে!

পুরনো বর্ধমানের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক পূর্ব বর্ধমানের দায়িত্বে থাকবেন। যা আসলে গ্রামীণ বর্ধমান। আর দুর্গাপুর-আসানসোলের শিল্পাঞ্চল নিয়ে যে পশ্চিম বর্ধমান তৈরি হয়েছে, তার জন্য নতুন জেলা কমিটি গড়ে সম্পাদক বাছা হবে। এক দিক থেকে বর্ধমান ভাগের এই সিদ্ধান্তে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সূর্যকান্ত মিশ্রেরা খুশি।

কারণ, আগেকার মতো বড় সংগঠনের বহরসম্পন্ন একটা গোটা জেলার বিরোধিতার মোকাবিলা করতে হবে না। পুরনো জেলা ভেঙে যাওয়ায় দুই নতুন জেলারই সংগঠনের ক্ষমতা কিছুটা করে কমবে। তার মধ্যে একটায় ‘নিয়ন্ত্রণ’ ভাল থাকলে আলিমুদ্দিনেরই সুবিধা।

আরও পড়ুন: বিমার জোরে স্বাস্থ্য ফিরছে রাজ্যের

সিপিএমের রীতি মেনে রাজ্য কমিটির সদস্যদের মধ্যেই কাউকে নতুন জেলা সম্পাদকের ভার দেওয়া হয়। অমল-অচিন্ত্য শিবিরের পছন্দের লোক সিটু নেতা এবং প্রাক্তন বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রের খবর, আলিমুদ্দিন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সম্পাদক হিসাবে দেখতে চায় প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীকে। কিন্তু এই দুই নাম নিয়ে মতের ফারাক থেকে গেলে ‘কালো ঘোড়া’ প্রাক্তন ছাত্রনেতা পার্থ মুখোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য রাজ্য কমিটির সদস্য নন। কিন্তু তাঁর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং ছাত্র

রাজনীতির সুবাদে ওই অঞ্চলে তাঁর প্রভাব বিবেচনায় রেখে তাঁকে জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব দিতে সূর্যবাবুদের আপত্তি নেই।

দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী চূড়ান্ত ফয়সালা করার পরে আগামী রাজ্য কমিটির বৈঠকে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের নতুন জেলা কমিটি গঠন ও সম্পাদকের বিষয়ে সিলমোহর পড়ার সম্ভাবনা। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘সংগঠন গতিশীল থাকবে, এই লক্ষ্য মাথায় রেখেই যা করণীয়, করা হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

CPIM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy