Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪
CPM

বাম-কংগ্রেসও বিঁধছে কেন্দ্রকে, পাল্টা বিজেপির

তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের এমন পদক্ষেপের পিছনে স্পষ্টতই কিছু উদ্দেশ্য আছে।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তীএবং দিলীপ ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তীএবং দিলীপ ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০ ০২:১৬
Share: Save:

শাসক তৃণমূলের পাশাপাশিই করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউন খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেস। এই সম্মিলিত সুরে প্রত্যাশিত ভাবেই ব্যতিক্রম বিজেপি।

তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের এমন পদক্ষেপের পিছনে স্পষ্টতই কিছু উদ্দেশ্য আছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে রাজ্য যখন করোনা মোকাবিলায় নেমেছে, সেই সময়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে দিল্লি যা করল, তার মধ্যে অভিসন্ধি স্পষ্ট।’’ হাতের কাছে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ বা গুজরাত থাকা সত্ত্বেও সে সব রাজ্যে ক’টা কেন্দ্রীয় দল গিয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে সুদীপবাবুর মন্তব্য, ‘‘হঠাৎ করে বাংলায় দল পাঠানোর উদ্দেশ্য কি আদৌ করোনা ভাইরাস মোকাবিলা না রাজনৈতিক ভাইরাস ছড়ানো?’’

নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের কাজের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীও এ দিন বলেছেন, ‘‘রাজ্যের কিছু ত্রুটি নিশ্চয়ই আছে, সেগুলো নিয়ে আমরা বলছিও। কিন্তু কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে আলোচনা করবে না? সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে কেন্দ্রের তরফে টুইট করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে! তার পরেই কেন্দ্রীয় দল পৌঁছে যাবে! সুযোগ পেয়েই একটু রাজনীতি করে নিলাম, এটা হতে পারে না! আমরা চাই বিপন্ন মানুষের সমস্যার সমাধান হোক।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় কেন্দ্রের অধিকারের কথা উল্লেখ আছে কিন্তু তাদের দায়িত্বের কোনও উল্লেখ নেই। বিভিন্ন সমস্যার কথা আমরা জানিয়ে আসছি। অধিকার ফলানোর পাশাপাশি দায়িত্বও পালন করতে হবে কেন্দ্রকে।’’ বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের মন্তব্য, ‘‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়ে উলুখাগড়ার প্রাণ যাক, সাধারণ মানুষের জন্য এই পরিস্থিতি কখনওই কাম্য নয়।’’

আরও পডুন: পড়ুয়ার বাড়িতেও যাবে চাল ও আলু

তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পাল্টা যুক্তি, বাংলা করোনা-তথ্য আড়াল করছে এবং ক্রমাগত কেন্দ্রের পাঠানো সতর্ক-বার্তা মানছে না বলেই এখানে কেন্দ্রীয় দল এসেছে। যেখানে বেশি সংক্রমণ, ক্ষতি, মৃত্যু, সেখানেই দল যাচ্ছে। তার মধ্যে বিজেপি-শাসিত মধ্যপ্রদেশও আছে। দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে আমাদের সাংসদদের বিরুদ্ধে এফআইআর করছে, তাঁদের বাড়ির সামনে পুলিশ বসাচ্ছে। আর সেই আইনই যখন কেন্দ্র লাগু করছে, তখন তাদের কষ্ট হচ্ছে! কেন্দ্রের চিঠিতে স্পষ্ট লেখা আছে, কোন আইনের কোন ধারায় দল পাঠানো হচ্ছে। কেন্দ্রের অ্যাডভাইসরি রাজ্যে মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে কেন্দ্র দল পাঠাতেই পারে।’’

আরও পড়ুন: শেষকৃত্যে ধুন্ধুমার, পুলিশ লুকোল জঙ্গলে

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

অন্য বিষয়গুলি:

CPM Congress BJP Coronavirus in West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy