কৃষি আইন বাতিল ঘোষণার পর কৃষকদের উচ্ছাস। ছবি: রয়টার্স।
সংসদে কৃষি আইন যখন পাশ হল, তখন বলা হল এটা ‘মাস্টারস্ট্রোক’। আবার যখন চাপের মুখে পড়ে আইন প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, তখনও তাকে ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলা হচ্ছে! আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে এসে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে এমন মন্তব্যই করলেন সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। বললেন, ‘‘শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, রাস্তায় পড়ে থেকে কৃষকরা ৫৬ ইঞ্চির প্রধানমন্ত্রীকে নতি স্বীকারে বাধ্য করেছেন, এটা বিরাট জয়।’’
নরেন্দ্র মোদীর সরকার কেন এত দিন দৃঢ় ভাবে বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করেও শেষ পর্যন্ত তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হল? লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদকের মতে, ‘‘এর পিছনে আছে নির্বাচনী সমীকরণ। হালের উপনির্বাচনে বিজেপি-র ফলের ভিতরে লুকিয়ে থাকা আগামীর নিশ্চিত ভরাডুবি দেখতে পেয়ে সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করছেন নরেন্দ্র মোদীরা।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি বুঝতে পেরেছে অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে। তাই মরিয়া হয়ে কৃষকবান্ধব সাজার চেষ্টা করছেন মোদী।’’। দীপঙ্করের মন্তব্য, ‘‘আন্দোলনকারী কৃষকদের কিছু দিন আগে পর্যন্ত খালিস্তানি, মাওবাদী, দালাল, উগ্রপন্থী— কত কিছু বলা হয়েছে। তার ফল কী হল?’’
শুক্রবার এই তিন আইন প্রত্যাহারের কতা ঘোষণা করেছেন নরেন্দ্র মোদী। দীপঙ্কর মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী ওই ঘোষণাতেও লুকিয়ে আছে চালাকি এবং অহঙ্কার। তাঁর কথায়, ‘‘উনি বললেন, দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি, কৃষকদের একটা ছোট অংশকে আমি বোঝাতে পারিনি। কৃষকরা কৃষি বোঝে না? ওটা আরএসএস, অম্বানী, আদানিরা বোঝে? এক বছর আগে কৃষকদের দাবি মেনে নিলে এতগুলো লোককে প্রাণ হারাতে হত না।’’
যদিও শুধু মোদীর মৌখিক আশ্বাসে ভরসা নেই কৃষক আন্দোলনে যুক্ত থাকা দীপঙ্করের। তিনি বলছেন, ‘‘যত ক্ষণ না পর্যন্ত আইন সংসদে বাতিল হচ্ছে, তত ক্ষণ কৃষকরা রাস্তায় থাকবেন। না আঁচালে বিশ্বাস নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy