এন্টালি মোড়ে মানব বন্ধনে সামিল সিপিএমের নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।
শুধু লাল ঝান্ডার প্রতি অবিমিশ্র আনুগত্য ছেড়ে স্বাধীনতা দিবসে দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের চল শুরু হয়েছিল কয়েক বছর আগেই। এ বার আরও এক ধাপ এগোল সিপিএম! দেশের ৭০তম স্বাধীনতা দিবসে পলাশির প্রান্তরে শহিদ বেদিতে জাতীয় পতাকা তুলল দলের যুব সংগঠন।
আর পাঁচটা রাজনৈতিক দলের মতো রাজ্য জুড়ে সোমবার জাতীয় পতাকা উত্তোলনের কর্মসূচি ছিল ডিওয়াইএফআইয়ের। সংগঠনের রাজ্য দফতরের পাশাপাশি রাজ্যের নানা প্রান্তে স্বাধীনতা দিবস এ ভাবে উদযাপনের কর্মসূচি তারা নিয়ে চলেছে গত দু-তিন বছর ধরেই। এ বার তার সঙ্গে নতুন সংযোজন পলাশিতে শহিদ স্মরণ। মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলার সীমানায় নবাব সিরাজ যেখানে রবার্ট ক্লাইভের বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন, সেখানকার শহিদ মিনারে এ দিন শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতীয় পতাকা তুলেছেন ডিওয়াইএফআইয়ের জেলা নেতৃত্বই। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সায়নদীপ মিত্রের কথায়, ‘‘ব্রিটিশদের সঙ্গে লড়াইয়ের ইতিহাসে পলাশির স্থান অনস্বীকার্য। স্বাধীন ভূখণ্ডের জন্য সেই লড়াইয়ে যাঁরা প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের আমরা তাই স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছি।’’
সিপিএম তথা বামফ্রন্টের নেতারা এ দিন রাজ্য জুড়ে অংশ নিয়েছিলেন ‘মানব বন্ধনে’। শান্তি, অখণ্ডতা ও সংহতির স্বার্থে কলকাতায় এন্টালি মোড়ে এ দিন মানব বন্ধনে সামিল হয়েছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, সিপিআইয়ের প্রবোধ পণ্ডা, আরএসপি-র মনোজ ভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ড ব্লকের হাফিজ আলম সৈরানি, ডিএসপি-র প্রবোধ সিংহ, পিডিএসের সমীর পূততুণ্ড প্রমুখ। পরে সূর্যবাবু বলেন, স্বাধীনতার যে বর্তমান রূপ, তার থেকে মুক্তির জন্য তাঁদের লড়াই চলবে। সংগ্রাম জারি থাকবে ভারতকে প্রকৃত সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য। দেশের ৯৯% মানুষের সম্পদ মাত্র ১%-এর হাতে পুঞ্জীভূত হয়ে থাকবে, এই বৈষম্য থেকে আজাদি চাই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy