সরকারি বকেয়া মেটেনি। এ দিকে, বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ সামাল দিতে হলে দরকার আরও বেশি করোনা চিকিৎসার হাসপাতাল। প্রশাসনিক নির্দেশের অপেক্ষা না করে তাই উদ্যোগী হয়ে করোনা চিকিৎসা করাতে এগিয়ে এল শ্রীরামপুরের শ্রমজীবী হাসপাতাল।
গত বছর এই শ্রমজীবী হাসপাতালকেই সরকারের তরফে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই বাবদ এখনও সরকারের কাছে ৮ কোটি টাকা প্রাপ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এ বারও হুগলিতে বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণের আবহে জেলায় কোভিড হাসপাতাল ও বেড বাড়ানোর কথা বলেছে হুগলি জেলা প্রশাসন। সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কোনও অনুরোধ করা না হলেও শ্রমজীবী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত বছরের মতো তারা এ বারও করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় একই ভাবে কাজ করবেন। সে ক্ষেত্রে আর্থিক বিষয়টি আপাতত নিজেরাই সামলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
শ্রমজীবী হাসপাতালের সহ-সম্পাদক গৌতম সরকার বলেছেন, ‘‘হাসপাতাল তৈরি হওয়ার সময় থেকেই সাধারণ মানুষের ওপর ভরসা রেখে মানুষের সহযোগিতায় এতদূর এসেছি। সরকারের সব রকমের সহযোগিতা পেয়েছি গতবার কিছু টাকা বাকি আছে আশাকরি পেয়ে যাব। আপাতত তামিলনাড়ু থেকে পিপিই কিট এবং অন্যান্য কিছু সরঞ্জাম হাতে পেলে দু-এক দিনের মধ্যেই করোনা চিকিৎসা শুরু হয়ে যাবে শ্রমজীবী হাসপাতালে।’’
তবে সরকারি বকেয়া না পেলেও সাধারণ মানুষ পাশে দাঁড়িয়েছেন। মঙ্গলবার শ্রীরামপুরের ব্যবসায়ী সমীরণ ঘোষ ৫ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন শ্রমজীবী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে। সমীরণ বলেন, ‘‘শ্রমজীবী হাসপাতাল যে ভাবে করোনা আক্রান্তদের সেবা করেছে তা এক কথায় অনবদ্য। সেই হাসপাতাল আর্থিক সমস্যায় রয়েছে জানতে পেরেই সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিই।’’
হুগলি জেলায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে করোনা চিকিৎসায় শ্রমজীবী হাসপাতালের উদ্যোগে সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন এলাকাবাসী। গৌতম জানান, ‘‘সমীরণবাবু এগিয়ে এসে সাহায্য করেছেন, তাতে আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা চেষ্টা করব সব শক্তি নিয়ে করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়াতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy