Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

আলাপন মামলায় নীতির প্রশ্ন কোর্টের

রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগ নিয়ে বিরোধী শিবির ঘোর আপত্তি তুলেছিল। এ বার ওই নিয়োগে নৈতিকতার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্টও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৬ ০৩:৫৩
Share: Save:

রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়োগ নিয়ে বিরোধী শিবির ঘোর আপত্তি তুলেছিল। এ বার ওই নিয়োগে নৈতিকতার প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্টও।

সোমবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র আদালতকে জানান, এই নিয়োগ আইন মেনেই হয়েছিল। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত তখন বলেন, এক জন বিচারপতির এজলাসে যদি তাঁর ছেলে, মেয়ে, জামাই কিংবা পুত্রবধূ ওকালতি করেন, তাঁকে সেই এজলাস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ, ওই বিচারপতি সেখানে বিচারকাজ চালিয়ে গেলে তাঁর সততা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন উঠতে পারে।

বিচারপতি দত্তের পর্যবেক্ষণ, নিকটাত্মীয়ের কারণে যেমন বিচারপতির সততা নিয়ে জনমানসে প্রশ্ন উঠতে পারে, একই ভাবে আলাপনবাবু সৎ ভাবে কাজ করলেও প্রশ্ন উঠতে পারে তাঁর ভূমিকা নিয়ে। নিয়োগের ক্ষেত্রে জনগণের এই মানসিকতার দিকটিও খেয়াল রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি।

গত পুরভোটে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছিল। তা সত্ত্বেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিষ্ক্রিয় বলে অভিযোগ ওঠে। শুরু হয় চাপান-উতোর। এই পরিস্থিতিতে তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায় পদত্যাগ করায় রাজ্যের পরিবহণসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ করা হয়। তা নিয়ে আপত্তি তোলেন বিরোধীরা। সরকারের চাকরিতে থাকাকালীন আলাপনবাবু রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে নিরপেক্ষ থাকতে পারবেন কি না, ওঠে সেই প্রশ্নও। তার পরেই তাঁর নিয়োগের বৈধতা নিয়ে মামলা হয় হাইকোর্টে। এ দিন মামলার আবেদনকারীর তরফে কেউ আদালতে হাজির ছিলেন না। পরবর্তী শুনানির দিন পড়েছে ৪ এপ্রিল।

অন্য বিষয়গুলি:

Court Alapan Bandhopadhyay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy