—ফাইল ছবি
তৃতীয় দফার লকডাউনে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। শর্তসাপেক্ষে খুলেছে অফিস এবং দোকানও। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদেরও প্রতিদিনই যেতে হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে। এ ছাড়াও এখন অনেকেই বাইরে থেকে ফিরছেন রাজ্যে। সে কথা মাথায় রেখে কলকাতা এবং হাওড়া, দুই ২৪ পরগনার মধ্যে ১৩টি রুটে পরিষেবা দিচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। আগেই অবশ্য ৬টি রুটে সরকারি বাস পরিষেবা চালু হয়েছিল। ধাপে ধাপে সেই সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হবে।
তবে কোনও ভাবেই বাসে ২০ জনের বেশি যেতে পারবেন না। পরিবহণ দফতরের নির্দেশিকার পরেও, জোর করে বাসে ওঠার চেষ্টা করছেন যাত্রীরা। বাসে উঠতে চেয়ে ডিপোগুলিতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পরিবহণ কর্মীদের। বাসের চালক এবং কনডাক্টরেরা আপত্তি করলে, তাঁদের গালিগালাজও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনের সাহায্যও নিচ্ছে পরিবহণ দফতর। বিশেষ করে বাস ডিপোতে ভিড় এড়াতে সেখানে পুলিশ মোতায়েনেরও চিন্তাভাবনা চলছে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, এক ঘণ্টা অন্তর মাত্র ২০ জন নিয়ে এত কম সংখ্যক বাস চললে অফিস বা গন্তব্যে কী করে পৌঁছানো সম্ভব? বাসের সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সময়ের ব্যবধানও কমাতে হবে বলে দাবি জানাচ্ছেন যাত্রীরা।
এক দিকে যেমন বাস চলছে। তেমনই শর্তসাপেক্ষে অনলাইন অ্যাপ ক্যাবও চলছে। তবে একমাত্র অপরিহার্য এবং জরুরি কারণে যাতায়াতের জন্য সীমিত সংখ্যক গাড়ি চালানো হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে পুলিশের অনুমতি নিয়ে চালু হবে ট্যাক্সি পরিষেবাও। রাজ্য পরিবহণ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, রাজনবীর সিংহ কপূর বলেন, ‘‘আপাতত ১৩টি রুটে চলছে বাস। সোশাল ডিসট্যান্সিং-এর বিষয়টিতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’’ ওই ১৩টি রুটে এক ঘণ্টা অন্তর সকাল ৭টা থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত পরিষেবা চালু থাকবে। পরবর্তী ক্ষেত্রে বাসের সংখ্যার আরও বাড়ানো হবে। বাসগুলিতে নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করা হবে। যাত্রীর সংখ্যা যাতে বেশি না হয়, সে দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৩৭ সিআইএসএফ জওয়ান
পরিবহণ দফতরের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে, উবর এবং ওলা সীমিত সংখ্যাক ক্যাব চালাচ্ছে জরুরি ও অপরিহার্য পরিষেবার জন্যে। যাত্রী পরিবহণে কোনও রকম সমস্যা হলে, ফোনও করা যাবে। তার জন্যে বেশ কয়েকটি নম্বর চালু হল। ০৩৩-২২৩৬ ১৯১৬, ০৩৩-২২৩৬০৪৬২,৯৪৩২০২২১৪৭,
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy