ফাইল চিত্র।
নবান্নের নির্দেশে হুগলিতে ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’-এর (গণ্ডীবদ্ধ এলাকা) সংখ্যা কমল।
গত ২০ এপ্রিল জেলা প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, ৯টি পুরসভা এবং ১১টি পঞ্চায়েত ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’। পরে অন্য চারটি পুর-এলাকাও ওই তালিকায় ঢোকান হয়। সোমবার রাজ্য প্রশাসন জানায়, হুগলিতে কন্টেনমেন্ট জ়োন ১৮টি। এর মধ্যে চাঁপদানি, শ্রীরামপুর, কোন্নগর, রিষড়া, ডানকুনি, চন্দননগর পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড বা তার অংশ, কয়েকটি পঞ্চায়েত বা তার নির্দিষ্ট এলাকা রয়েছে। এই সব এলাকায় লকডাউন বিধি কঠোরভাবে মানার কথা।
প্রশাসন সূত্রের খবর, হুগলি অরেঞ্জ জ়োনে রয়েছে। কন্টেনমেন্টের বাইরে থাকা এলাকায় নিয়ম মেনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাদেও অন্যান্য দোকান খোলা যেতে পারে। যদিও জেলা প্রশাসন না রাজ্য প্রশাসনের নির্দেশিকা মানা হবে, কোন এলাকা কন্টেনমেন্ট আর কোনটা নয়, দোকান খোলা যাবে, না যাবে না— তা নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর বিভ্রান্তি ছড়াল। নবান্নের নির্দেশের পরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশিকা বলবৎ থাকবে কিনা, সেই নিয়েও আলোচনা চলে। হঠাৎ করে বিভিন্ন এলাকা কন্টেনমেন্টের আওতার বাইরে চলে গেলে তার ফল ভাল হবে কিনা, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন শহরেই এ দিন অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন দোকানও বিক্ষিপ্ত ভাবে খোলে। কয়েকটি জায়গায় পুলিশ দোকান খোলার অনুমতি দেয়নি বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। বৈদ্যবাটী, চাঁপদানি, ভদ্রেশ্বর শহরে জুতো, জামাকাপড়ের দোকান খোলা ছিল। এখানে কিছু বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে। পুরনো জায়গায় বসতে না পেরে আনাজ, মাছ-মাংস বিক্রেতাদের একাংশ অবশ্য ক্ষুব্ধ। হুগলি চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বসু বলেন, ‘‘খুব বিভ্রান্তি হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমে প্রশাসনের বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে না, কোথায় দোকান খোলা যাবে। অথচ কোথাও কোথাও স্থানীয় প্রশাসন অনুমতি দিচ্ছে না।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘প্রায় সর্বত্রই ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে লকডাউন যথাযথ ভাবে পালন করেছেন। কিন্তু তাঁদের রুজিরুটির কথা ভেবে নির্দিষ্ট এলাকায় সরকারের ঘোষিত ছাড় কার্যকর করা দরকার।’’
জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও জানান, যে সব এলাকায় করোনা সংক্রমণ হয়েছে, সেই ১৮টি জায়গা কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে। সেখানে কঠোর ভাবে বিধিনির্দেশ মানতে হবে। বাকি এলাকায় নিয়ম মেনে দোকানপাট খোলা যাবে। শপিং মল, হোটেল, রেস্তরাঁ, সেলুন বা যে সব প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তা মানতে হবে। কোথাও নতুন করে করোনা সংক্রমণ হলে সেই এলাকা কন্টেনমেন্ট জ়োন হবে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘কন্টেনমেন্ট এলাকার
বাইরে দোকান খুললেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বন্ধ করতে হবে। ভিড় করা যাবে না। দোকানে যাওয়ার নামে লকডাউনের নিয়ম ভাঙা যাবে না। মাস্ক ছাড়া বেরনো যাবে না। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেননা, লকডাউন বলবৎ আছে। কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে মাত্র।’’
তবে এ দিন নবান্ন ঘোষিত কন্টেনমেন্ট জ়োনেও বিভিন্ন দোকান খোলা হয়। যেমন, কন্টেনমেন্টের তালিকায় রয়েছে শ্রীরামপুর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে জিটি রোডের ধারে বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের একাধিক বড় সংস্থার বিপণি রয়েছে। লকডাউনের শুরু থেকে সেগুলি বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সেগুলি খোলে। কোনও বিপণির শাটার অর্ধেক খোলা ছিল। কোনওটির এক দিকের গেট খোলা। এই এলাকার এক শ্রেণির লোক যথারীতি অবাধে রাস্তায় বেরিয়েছেন। আরামবাগের তিরোল পঞ্চায়েত কন্টেনমেন্ট জ়োন হলেও এখানে দোকান, হাট-বাজার খোলা ছিল। পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুস সুকুর বলেন, “প্রশাসনের তরফে কন্টেনমেন্ট জ়োন সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচার করা হয়নি। বিষয়টি বুঝতে না পেরে কেউ কেউ দোকান খুলেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy