Advertisement
২০ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus

শ্রমিকের দেহ পড়ে সীমান্তে

জয়নালের পরিবার সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে থিম্পুতেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২০ ০৯:১৪
Share: Save:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জেরে সিল সীমান্ত। ফলে ভুটানে মৃত তুফানগঞ্জের বাসিন্দা এক শ্রমিকের দেহ জয়গাঁ সীমান্তের ওপারে ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ। প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে এখনও মৃতদেহ বাড়িতে আনার ব্যবস্থা হয়নি। ফলে ওই শ্রমিকের পরিবারের লোকেদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। যদিও প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, গোটা বিষয়টি রাজ্য প্রশাসন জানে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত মিললেই দেহ আনার ব্যবস্থা করা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম জয়নাল মিয়াঁ (৫৫)। তাঁর বাড়ি কোচবিহারের বক্সিরহাট থানার মহিষকুচি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রসিকবিল এলাকায়। ভুটানের থিম্পুতে তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।

জয়নালের পরিবার সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে থিম্পুতেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। জয়নালের পরিবার সূত্রের খবর, এরপর জয়নালের এক ভাই তাঁর দেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন।

জয়নালের জামাই রাজিদুল হকের অভিযোগ, তাঁর শ্বশুরের মৃত্যুর পর ভুটান সরকারের তরফে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাঁর ভাইয়ের হাতে দেওয়া হয়। তার পরও মৃতদেহটি জয়গাঁয় ভুটান গেটে আটকে দেওয়া হয়। জয়গাঁ পুলিশও মৃতদেহ নিচ্ছে না। এ পারেও আনতেও দিচ্ছে না। বিষয়ট নিয়ে বারবার পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন লাভ হচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ।

টানা ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই টানাপড়েনের জেরে স্বাভাবিক ভাবেই জয়নালের পরিবার ক্ষুব্ধ। পুলিশ সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে জয়নালের দেহ ফুন্টশেলিংয়ের একটি হাসপাতালে রাখা রয়েছে।

জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে ভুটান সীমান্ত সিল রয়েছে। সেইজন্যই দেহটি এ পারে আনা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি নিয়ে ভুটান সরকারের তরফে রাজ্য সরকারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশ এখনও পর্যন্ত আসেনি। তা এলেই সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

তবে বিষয়টি নিয়ে জেলার পুলিশকর্তারা প্রকাশ্যে অবশ্য কিছু বলতে চাননি। একই ভাবে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য এড়িয়েছেন তুফানগঞ্জের প্রশাসনিক কর্তারাও। তবে তুফানগঞ্জ মহকুমার প্রশাসন একটি সূত্র জানিয়েছে, আলিপুরদুয়ার জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছে। মৃতদেহ নিয়ে আসা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy