গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১হাজার২৫৯ জন। তাঁদের মধ্যে ৯০৮ জন এখনও চিকিৎসাধীন।করোনায় এখনও পর্যন্তমারা গিয়েছেন ৬১ জন। রোগমুক্ত হয়েছেন ২১৮ জন। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার এমন তথ্যই নবান্নে জানালেন রাজীব সিংহ।
মুখ্যচসিব এ দিন জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ জন। গতকাল অর্থাৎ ৩ মে স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যেসক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৬৩ জন। সেই হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২৪৫। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘কোভিড সংক্রাম্ত তথ্য রিপোর্টিংয়ের যে পদ্ধতি আমাদের ছিল, তা খুব জটিল। ফলে বেশ কিছু তথ্য এবং পরিসংখ্যান নথিভুক্ত হয়নি। আর সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে তথ্যের একটা পার্থক্য।” তিনি এ দিন জানিয়েছেন, সেই সমস্যা দূর করা হয়েছে এবং সামগ্রিক তথ্য সঙ্কলিত করা হয়েছে।
মুখ্যসচিবের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ঘণ্টায় কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। কারণ রবিবার পর্যম্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৫০। মুখ্যসচিবের দাবি, রাজ্যে প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যা পিছু মৃত্যুর সংখ্যা ১.৪৭। সুস্থ হয়ে ওঠার হার প্রতি ১০ লাখে ১৩.৯৮। প্রতি ১০ লাখ নমুনা পরীক্ষায় ১৩.৯৮ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কোভিড-১৯-এ মৃত্যু প্রসঙ্গে রাজীব সিংহ জানান, রাজ্য নিযুক্ত কোভিড মৃত্যু সংক্রান্ত অডিট কমিটি ১০৫ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু নিয়ে অডিট করে ৩৩ জনকে চিহ্নিত করে করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে। বাকি ৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে কো-মর্বিডিটির কারণে।
আরও পড়ুন: বাংলার পরিস্থিতি ‘ভয়ঙ্করতম’, চলছে ‘পুলিশ-রাজ’: ফের চিঠি ধনখড়ের
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এ দিন মুখ্য সচিব স্বীকার করেন, রাজ্যে টেস্ট ল্যাবের সংখ্যা কম থাকার জন্য প্রথম দিকে নমুনা পরীক্ষা কম হয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন ত্রুটিযুক্ত কিটের জন্যও নমুনা পরীক্ষা কম হয়েছে। রাজীব সিংহ বলেন, ‘‘১০ দিন আগেও প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় নমুনা পরীক্ষা করা হত ১০৯ জনের। সেই নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে বর্তমানে প্রতি ১০ লাখে ২৭৯ হয়েছে।” তিনি এ দিন জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ২০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজার ১১৬টি নমুনা।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে মিজোরাম হাউসের এক বাসিন্দার। তিনি কোভিড আক্রান্ত ছিলেন। ফলে মিজোরাম হাউসের ২৬ জনকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, জোড়াবাগানের বাসিন্দা এক মহিলারও নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে।পুলিশের পর শহরে কোভিড আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেল এক সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানের। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে খবর, ওই বিএসএফ জওয়ান করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসা কেন্দ্রীয় দলের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি এমআর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: ঘরমুখী পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্ঘর্ষ সুরতে
গতকালই কোভিডে সংক্রামিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কলকাতা পুলিশের আরও এক অফিসার। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতার একটি ট্রাফিক গার্ডের এক ট্রাফিক সার্জেন্ট এবং কনস্টেবলও করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। লালবাজার সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের যে আধিকারিক রবিবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাঁর পরিচারিকাকে কোয়রান্টিনে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ওই পুলিশ কোয়াটার্সে তিন জন পরিচারিকা। তাঁদের সকলকেই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy