ছবি: পিটিআই।
করোনা মোকাবিলায় বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে কোনও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে না কিন্তু ‘ঘোলা জলে মাছ’ ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সরব হল তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের চার নেতা-মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও শান্তনু সেন মঙ্গলবার একযোগে তোপ দাগলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থবাবু এ দিন বলেন, মহারাষ্ট্র বা গুজরাতের মতো রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার যাবতীয় জলঘোলা করছে বাংলাকে নিয়েই। দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় দলও পাঠানো হচ্ছে বাংলায়। পার্থবাবুর বক্তব্য, ‘‘করোনা মোকাবিলার জন্য রাজ্যের তরফে মুখ্যমন্ত্রী বারবার আর্থিক প্যাকেজ দাবি করেছেন। কোনও সাহায্যই মেলেনি। কিন্তু ঘোলা জলে মাছ ধরা হচ্ছে!’’ করোনা-মোকাবিলার পাশাপাশিই রেশন দেওয়া ঘিরে বিতর্ক বাধানো হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ।
বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় আবার এ দিনই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন করোনা-তথ্যে ‘বিভ্রান্তি’র অভিযোগ করে। কৈলাসের বক্তব্য, ‘‘রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের নতুন বুলেটিনেও নানা অসঙ্গতি আছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই স্বাস্থ্য দফতর। আশা করব, কোটি কোটি মানুষের স্বার্থে তিনি এই বিষয়ে অগ্রাধিকার দেবেন।’’ তথ্য গোপন করার অভিযোগ অবশ্য নস্যাৎ করেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা।
আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে নজর রাখছেন ৬০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী, ফেসবুকে হিসাব দিলেন মমতা
আরও পড়ুন: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় মৃত ৭, নতুন করে আক্রান্ত ৮৫
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করে তৃণমূলের আরও প্রশ্ন, বারবার ‘রেড জ়োনে’র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শর্ত বদল করা হচ্ছে কেন? দলের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীর প্রশ্ন লকডাউনের নতুন বিধি নিয়েই। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘অর্থনৈতিক বাধ্যবাধকতাই যদি মদের দোকান খুলে দেওয়ার যুক্তি হয়, তা হলে আর লকডাউন কেন? পুরোটাই খুলে দেওয়া যায়। আমাদের জনসংখ্যা ও দারিদ্রের কথা বিবেচনা করলে এখনও পর্যন্ত আমরা ভাল কাজ করেছি। এখন কি একটা সুযোগ নিয়ে দেখা যায়?’’ রাজ্যের শাসক দলের দাবি, ‘রেড জ়োনে’ পরীক্ষার জন্য ৫০ হাজার কিট চাওয়া হয়েছিল। পাওয়া গিয়েছে সামান্যই। এই সূত্রেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে বিঁধে পার্থবাবুর মন্তব্য, ‘‘করোনা পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠিয়েছিল, তা নিয়ে তো রাজ্যপাল কোনও কথা বলেননি!’’ তাঁর মতে, রাজ্যবাসীর কথা ভাবলে রাজ্যপালের উচিত আর্থিক বরাদ্দের জন্য কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা। দলের তরফে আর এক মন্ত্রী রাজীব পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে সহযোগিতা না করায় কেন্দ্রের সমালোচনা করেছেন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy