চব্বিশ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চার হাজারের বেশি। তাতে নতুন করে ১২৪ জনের দেহে করোনার অস্তিত্ব মেলায় রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দু’হাজারের গণ্ডি ছাড়াল সোমবার। রাজ্যের বুলেটিন অনুযায়ী মোট আক্রান্ত ২০৬৩ জন। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও রাজ্যের বিশ্ব উপদেষ্টা পর্ষদের প্রধান অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘‘মৃত্যুহার বুঝতে হলে সংক্রমিতদের মধ্যে ক’জন মারা যাচ্ছেন, তা দেখতে হবে। যত বেশি পরীক্ষা হবে, তত সংক্রমিত লোকের হার জানা যাবে।’’

রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত আরও পাঁচ জনের (কলকাতার তিন, উত্তর ২৪ পরগনার দু’জন) মৃত্যু হয়েছে। আরও ৫৪ জন আক্রান্ত হওয়ায় মহানগরে করোনা পজ়িটিভের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০০২। হাওড়ায় ২৩, উত্তর ২৪ পরগনায় ২২, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় পাঁচ, পূর্ব বর্ধমানে তিন, মুর্শিদাবাদে পাঁচ, মালদহে তিন এবং পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বীরভূমে এক জন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে অভিজিৎবাবুর নেতৃত্বে বিশ্ব উপদেষ্টা পর্ষদ গঠন করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যে নমুনা পরীক্ষার হার কম বলে যে-অভিযোগ উঠছে, সেই প্রসঙ্গে এ দিন এবিপি আনন্দে এক সাক্ষাৎকারে অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘আমার মনে হয়, প্রথম দিকে পারস্পরিক দূরত্বের উপরে জোর দেওয়া হয়েছিল। এখন টেস্টিং বাড়ানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।’’ তাঁর মতে, যাঁরা পরীক্ষা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন, তাঁরা কিন্তু কী করে সেটা হবে, তা নিয়ে কিছু বলছেন না। প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে, এখন প্রশ্ন হল, কত দ্রুত পরীক্ষার হার বাড়ানো যায়।

বিশ্ব উপদেষ্টা পর্ষদ কী কাজ করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘যে-কোনও সময় মত দিলে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়। এই অভিজ্ঞতা নতুন নয়। আমাদের বোর্ড যা বলছে, তা কার্যকর হচ্ছে বলে আমার মনে হয়। যেমন শুরু থেকে টেস্টিং বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। এখনও বলছি।’’

কন্টেনমেন্ট এলাকা

• কলকাতা ৩৪০ (+১৪)

• উত্তর ২৪ পরগনা ৯২

• হাওড়া ৭৬

• দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৩০

• হুগলি ২৩

• পূর্ব মেদিনীপুর ৩

• পশ্চিম মেদিনীপুর ৬

• পূর্ব বর্ধমান ১

• নদিয়া ২

• মালদহ ৭

• উত্তর দিনাজপুর ৩ (নতুন)

• জলপাইগুড়ি ৪

• দার্জিলিং ২

• কালিম্পং ২

তথ্য সূত্র: রাজ্য সরকার

আরও পড়ুন: রাজ্য ‘ক্রীতদাস’ নয়! কেন্দ্রকে মুখ্যমন্ত্রী

আরও পড়ুন: প্লাজ়মা গবেষণায় রাজ্যের চার সংস্থাকে অনুমোদন দিল আইসিএমআর

নমুনা পরীক্ষায় নজর রাখতে স্বাস্থ্য দফতরের গড়া দলের এক সদস্য জানান, ১০ দিন আগেও রাজ্যে এক দিনে পরীক্ষার সংখ্যা ছিল দু’হাজারের ঘরে। এ দিনের হিসেব, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২০১টি পরীক্ষা হয়েছে। ২৪ এপ্রিল তা ছিল ৮৯৩৩। এখন ৪৩,৪১৪। ‘‘সিএনসিআইয়ে দু’টি শিফটে পরীক্ষার কথা চলছে। এনআরএস, বর্ধমানে আরটি-পিসিআর বসানোর অনুমতি মিলেছে। বাঁকুড়ায় দ্রুত মিলবে বলেই আশা। আরটি-পিসিআর বসবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও,’’ বলেন ওই সদস্য।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)