গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
করোনা টিকার প্রস্তুতি শুরু করতে রাজ্যগুলিকে বিশেষ কমিটি গড়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তার মধ্যেই শুক্রবার রাজ্যে ৪ হাজারের বেশি মানুষ করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠলেন, দৈনিক সুস্থতার নিরিখে যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক।
রাজ্য সরকার প্রকাশিত শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার প্রকোপ থেকে ৪ হাজার ১৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা যেখানে ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৬৭১, তার মধ্যে ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৮৮ জনই ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর ফলে রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৮৮.১৬ শতাংশ।
তবে সুস্থতার হার বাড়লেও রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বিরাম নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৯৮৯ জন। এ দিন তা সামান্য কমে ৩ হাজার ৯৭৯ হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৯৯৯।
তবে সুস্থতার হার বাড়লেও রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বিরাম নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন করে কোভিড-১৯ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন ৩ হাজার ৯৮৯ জন। এ দিন তা সামান্য কমে ৩ হাজার ৯৭৯ হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৯৯৯।
(গ্রাফে হোভার টাচ করলে দিনের পরিসংখ্যান মিলবে)
আরও পড়ুন: টিকাকরণের প্রস্তুতি শুরু, রাজ্যগুলিকে চিঠি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের, কমিটি গড়ার নির্দেশ
করোনার প্রকোপে মৃতের সংখ্যাও একই ভাবে বেড়েই চলেছে রাজ্যে। গতকাল করোনার প্রকোপে ৬১ জনের প্রাণ গিয়েছিল। এ দিন ৫৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনার প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৮৪ জন রোগীর।
২৪ ঘণ্টায় যত জনের কোভিড টেস্ট করা হয় এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার ৭৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এ দিন সংক্রমিতের সংখ্যা সামান্য কম হওয়ায় সংক্রমণের হারও কমে ৯.০৯ শতাংশ হয়েছে। গতকাল এই হার ৯.২২ শতাংশ ছিল।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
সংক্রমণ এবং মৃতের নিরিখে শুরু থেকেই একে অপরকে টেক্কা দিয়ে আসছে উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা। সংক্রমণের নিরিখে এ দিন এগিয়ে রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে ১৮ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। এ দিন উত্তর ২৪ ঘণ্টাতেও প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৮৬৬ জন। তবে দুই জেলাতেই ৯০০-র বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছেন এ দিন। কলকাতায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯০৬ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় ৯১৩ জন এ দিন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
হাওড়াতে এ দিন করোনার প্রকোপে ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৪৮ জন। হুগলি এবং নদিয়াতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ জন করে রোগী প্রাণ হারিয়েছেন। হুগলিতে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৩১ জন। নদিয়াতে এ দিন ১৮৫ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। ৩ জন রোগী প্রাণ হারিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৯৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন সেখানে।২ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। ১ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন জলপাইগুড়িতে।
এ ছাড়াও যে জেলাগুলিতে এ দিন নতুন করে শতাধিক মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন, সেগুলি হল— পশ্চিম বর্ধমান (১০৪), পূর্ব মেদিনীপুর (১১৯), পশ্চিম মেদিনীপুর (১১৯), মালদহ (১০৪), দার্জিলিং (১১৯) এবং কোচবিহার ১০৫।
এ ছাড়াও যে জেলাগুলিতে এ দিন নতুন করে শতাধিক মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন, সেগুলি হল— পশ্চিম বর্ধমান (১০৪), পূর্ব মেদিনীপুর (১১৯), পশ্চিম মেদিনীপুর (১১৯), মালদহ (১০৪), দার্জিলিং (১১৯) এবং কোচবিহার ১০৫।
আরও পড়ুন: প্রবীণদের করোনা প্রতিরোধে ভাল কাজ করছে যক্ষার টিকা, দাবি আইসিএমআর-এর
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy