প্রতীকী ছবি।
ছয় সংশোধনাগারে এখন পর্যন্ত দশের বেশি কর্মী-আধিকারিক করোনা আক্রান্ত। তুলনায় কম হলেও আক্রান্ত কয়েক জন বন্দিও। আর তাতেই কারার অন্দরে চেপে বসছে করোনা আতঙ্ক।
রাজ্যের সংশোধনাগারে বন্দিদের তুলনায় কর্মী-আধিকারিকের সংখ্যা অপ্রতুল। করোনা আবহে তা যাতে আরও হ্রাস না পায়, তাই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে রাজ্যের কয়েকটি সংশোধনাগারের কর্মী-আধিকারিকদের নমুনা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করেছে কারা দফতর। ইতিমধ্যে সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে নমুনা পরীক্ষা শুরুও করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
বিভিন্ন সংশোধনাগারে কর্মী-আধিকারিকদের সংক্রমণ দফতরের অস্বস্তি বাড়ালেও এখনও পর্যন্ত কম সংখ্যক বন্দির সংক্রমণের খবর কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। রাজ্যের সংশোধনাগারে থাকা তিন-চার জন বন্দি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রের দাবি। তার মধ্যে জলপাইগুড়ি সংশোধনাগারের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে প্যারোলে বাড়িও ফিরেছেন।
কর্মী-আধিকারিকদের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়তে কারা দফতর স্থির করে, দমদম, প্রেসিডেন্সি, বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের কর্মী-আধিকারিকদের নমুনা পরীক্ষা হবে। পাশাপাশি, হাওড়া জেলা সংশোধনাগারেও কর্মী-আধিকারিকদের নমুনা সংগ্রহ করছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই তালিকায় রয়েছে বসিরহাট এবং উলুবেড়িয়া মহকুমা সংশোধনাগার। কারণ, দমদম, প্রেসিডেন্সি, বারুইপুর, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, বসিরহাট সংশোধনাগারের কর্মী-আধিকারিক আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সেই সংখ্যা দশের বেশি। দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রয়োজনের তুলনায় বিভিন্ন সংশোধনাগারে কর্মী-আধিকারিকের সংখ্যা অনেকটা কম। কর্মী-আধিকারিকদের গায়ে করোনার আঁচ তীব্র হলে সংশোধনাগার চালানো যথেষ্ট কঠিন হবে। তাই যেখানে যেখানে কর্মী-আধিকারিকেরা সংক্রমিত হয়েছেন। সেখানে সব কর্মী-আধিকারিকের নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
বারুইপুর, জলপাইগুড়ির কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আক্রান্ত বন্দির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদেরও নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভই। তবে বন্দিশূন্য আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের দায়িত্বে থাকা এক কর্মীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে খবর।
কর্মী-আধিকারিকরা সংশোধনাগারের বাইরে থেকে সংক্রমিত হয়েছেন বলে দাবি কারা দফতরের অনেকের। তাঁদের মতে, ওই কর্মী-আধিকারিকদের থেকে বন্দিদের মধ্যে সংক্রমণের সম্ভাবনা কার্যত নেই। ওই অংশের মতে, এখনও পর্যন্ত বন্দিদের মধ্যে সেভাবে সংক্রমণ লক্ষ্য করা যায়নি। এক কর্তার মতে, ‘‘বন্দিদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে সাংঘাতিক পরিস্থিতি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy