ফাইল চিত্র।
বাড়িতে থাকা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে আপত্তি নেই। কিন্তু ওই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হলে শয্যা মিলবে তো! মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য দফতরের পরিকল্পনা রূপায়ণের আগে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছেন আইএমএ’র (ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন) সদস্য-চিকিৎসকদের একাংশ। যার পরিপ্রেক্ষিতে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির বিষয়টি সুনিশ্চিত করে নির্দিষ্ট বিধি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর) জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।
রাজ্যে ৭৮.৯৬ শতাংশ করোনা আক্রান্তই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন! স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বঙ্গে মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণে না আসার একটি বড় কারণ হোম আইসোলেশনে থাকা আক্রান্তেরা। এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে থাকা প্রত্যেক করোনা আক্রান্তকে একজন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছে স্বাস্থ্য দফতর। সেই লক্ষ্যপূরণে আইএমএ রাজ্য শাখার সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ ভাবে কাজ করার কথা ইতিমধ্যে ঘোষিত। স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, সেই পরিকল্পনা কী ভাবে বাস্তবায়িত হবে শুক্রবার সেই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বসিরহাট এবং ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার উদ্দেশে জারি করেছে স্বাস্থ্য ভবন।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ভবনে আইএমএ রাজ্য শাখার সদস্যদের উপস্থিতিতে এই সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। ওই বৈঠকেই হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের ভর্তির প্রয়োজন হলে হাসাপাতালে শয্যা পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টার পরেও বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কোনও রোগীর মৃত্যু হলে ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ জারির প্রক্রিয়াও স্থির করার কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন: এক দিনে সুস্থ ৪ হাজারেরও বেশি, এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক, দৈনিক সংক্রমণ সামান্য কমল
এ দিনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীকে হাসপাতালে বা সেফ হোমে পাঠানোর প্রয়োজন হলে ওই এলাকার স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানাবেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। রোগী ভর্তি সংক্রান্ত পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিক।
স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ছাড়াও পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিক বা কর্পোরেশনের চিকিৎসক ডেথ সার্টিফিকেট দিতে পারবেন। মৃতদেহ সৎকারের বিষয়টি দেখবেন স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষ।
বস্তুত, স্বাস্থ্য ভবনের এদিনের নির্দেশিকায় আক্রান্ত হওয়ার পরে কী পদ্ধতিতে হোম আইসোলেশনে থাকা রোগীদের পরিষেবা দেওয়া হবে তা স্পষ্ট করা হয়েছে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিদিন নতুন করে করোনা আক্রান্তদের ঠিকানা, ফোন নম্বর-সহ একটি তালিকা তৈরি করবেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। কলকাতা পুর এলাকায় সেই কাজ করবেন পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এরপর আক্রান্তের বিবরণ সংশ্লিষ্ট পুরসভা, পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দেওয়া হবে। আক্রান্ত ইতিমধ্যে কোনও চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন কি না তা জানবে সংশ্লিষ্ট পুরসভা বা স্বাস্থ্য প্রশাসন। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে না থাকলে কতজন রোগীর চিকিৎসকের প্রয়োজন তা ওই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত আইএমএ শাখাকে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য সংক্রমণ ঠেকানো, ভিড় যাচাইয়ে উৎসব-সমীক্ষা
আইএমএ’র তালিকা থেকে পছন্দমতো চিকিৎসক বেছে নিতে পারবেন আক্রান্ত। ফোন, ভিডিও কলের মাধ্যমে রোগীকে পরিষেবা দেবেন ওই চিকিৎসক। কোনও রোগীর ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন হলে সেই কাজে সহযোগিতা করবেন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিসিয়ানস অব ইন্ডিয়া’র (এপিআই) সদস্যেরা।
পরিষেবা প্রদানে চাইলে রোগীর কাছে ফি নিতে পারেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। তবে তার ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেবে স্থানীয় আইএমএ শাখা। চিকিৎসক সংগঠন সূত্রের খবর, কয়েকটি আইএমএ শাখা বিনামূল্যে এই পরিষেবা দিতে সম্মত হয়েছে। পুরসভা পরিচালিত হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীর চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় পরীক্ষানিরীক্ষার ব্যবস্থা থাকার কথাও বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy