প্রতীকী ছবি।
করোনার চোখরাঙানিতে দেশ জুড়ে লকডাউন বা তালাবন্দিদশায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে রুজিরোজগার ধাক্কা খাচ্ছে, বাদ পড়ছে না চাষ-আবাদও। মজুত সার চাষিদের হাতে না-পৌঁছনোয় তীব্র হয়েছে সঙ্কট। সার-সমস্যা মেটাতে এ বার জেলা প্রশাসনগুলিকে দায়িত্ব দিল রাজ্য সরকার। কৃষি দফতর সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, সারের দোকান খোলা রাখার জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের।
গোটা বছরে রাজ্যে সারের চাহিদা কমবেশি ১৪ লক্ষ টন। বোরো ও খরিফ মরসুমের মূল চাষ ছাড়াও বছরের যাবতীয় আবাদে সারের চাহিদা থাকে। কৃষি দফতরের সূত্রের খবর, এই সময়ে বোরো ধানের পরিচর্যার পালা চলে। কিন্তু কৃষিকর্তারা অভিযোগ পাচ্ছেন, চলতি লকডাউন পরিস্থিতিতে রেলের রেক থেকে মজুত সার বার করা যাচ্ছে না উপযুক্ত পরিবহণের অভাবে। কোথাও কোথাও আবার সারের দোকান খোলা রাখার উপরেও স্থানীয় প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাখছে। ফলে অনেক চাষিই সার কিনতে পারছেন না। এই অবস্থায় সারের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ষোলো আনা।
পরিস্থিতির পরিবর্তন না-হলে বোরো চাষের উপরে সার-সমস্যার ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চাষিরা। এই অভিযোগ এবং পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে নবান্নের সর্বোচ্চ মহল জেলা প্রশাসনগুলিকে সতর্ক করে দিয়েছে। কৃষি দফতর সকলকে জানিয়েছে, লকডাউনের মধ্যেও রাজ্যের সর্বত্র সারের দোকান খোলা রাখার ব্যবস্থা করতেই হবে। একই সঙ্গে সরকার নির্ধারিত উপযুক্ত দামে চাষিরা যাতে সার কিনতে পারেন, সেই বন্দোবস্তও করতে হবে। জেলাশাসক এবং বিডিও-রা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy